-688e2046382c4.jpg)
জনকণ্ঠ পত্রিকার লোগো : সংগৃহীত
দৈনিক জনকণ্ঠের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পত্রিকাটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘আগস্ট উপলক্ষে স্বৈরাচারের দোসর জনকণ্ঠ পত্রিকা গতকাল কালো রঙ ধারণ করেছিল। তার প্রতিবাদে আমরা লাল রঙ দিয়ে আজ পত্রিকা প্রকাশ করি। এই কারণে জুলাই বিপ্লবের পক্ষে থাকা সব সাংবাদিককে আজ চাকরিচ্যুত করেছেন পত্রিকার সম্পাদক শামিমা এ খান।’
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ‘এই বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জনকণ্ঠের সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করছি। এরপরও যদি কেউ দায়িত্ব নিয়ে পত্রিকা বের করেন, তবে তিনি তা সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে করবেন।’
এই ঘোষণার পরে জনকণ্ঠ অনলাইনে মালিকের হাত ধরে জনকণ্ঠে আবারো সক্রিয় হয়েছে ‘র’ শিরোনামে ‘লিড নিউজ’ আপলোড করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭:২২ মিনিটে আপডেট করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালিকের হাত ধরে জনকণ্ঠে আবারো সক্রিয় হয়েছে ‘র’। ৩১ জুলাই রাত থেকেই জনকণ্ঠের মালিক অফিসের হোয়াটাসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে সক্রিয় ছিল, সে সময় বিভিন্ন সাংবাদিককে ফোন দিয়ে হেনস্তার সাথে কিছু ভারতীয় নাম্বারের ব্যক্তিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করে, যাদের কর্মকাণ্ড ছিল রহস্যজনক। সেই সাথে ১ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শোক প্রস্তাবের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ফটোকার্ড লাল থেকে কালো করে ফেসবুকে খবর প্রচার করা হয়। যার প্রতিবাদ জানায় সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এই ঘোষণার পর জনকণ্ঠ পত্রিকার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ও সম্পাদকীয় অবস্থান নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। পাঠক ও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
এমএইচএস