বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ ১৩৩ শিশু

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৮
-68903dd884fb9.jpg)
প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ ১৩৩ শিশু’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে কমপক্ষে ১৩৩ শিশু শহীদ হয়েছে। তাদের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শ্রমে নিয়োজিত শিশুরাও রয়েছে। এই শিশুদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল ১১৭ জন। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শহীদ হওয়া সবচেয়ে ছোট শিশুর বয়স ৪ বছর, নাম আবদুল আহাদ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগে নিজ বাসার বারান্দায় গত বছরের ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সে। পরদিন ২০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আহাদের মতোই বাসায় থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে আরও তিন শিশু। তারা হলো রাজধানীর মিরপুরে সাফকাত সামির (১০), উত্তরায় নাঈমা সুলতানা (১৫) ও নারায়ণগঞ্জে রিয়া গোপ (৬)। আর গণ-অভ্যুত্থানে প্রথম কোনো শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৭ জুলাই। মো. সিয়াম (১৫) নামের ওই শিশু ভোলা থেকে ঢাকায় খালাতো ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিল।
সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ খুঁজছে কমিশন’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি মতামত দিলেও জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫-এর খসড়ায় মতামত দেয়নি জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্তত ১৩টি দল। সনদের আইনি ভিত্তি চাওয়া এ দলগুলোর দাবি– নির্বাচনের আগেই সাংবিধানিক সংস্কার হতে হবে, ভোট হবে সনদের অধীনে। এই বাস্তবতায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ খুঁজছে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রোববার সংসদ ভবনে কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে সরকারপ্রধানকে অবহিত করা হয়েছে।
কমিশনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সনদ স্বাক্ষরের কাজ শেষ করা। পরে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৫ আগস্ট। কিন্তু এখনও খসড়া চূড়ান্ত না হওয়ায় কমিশনের মেয়াদের মধ্যে সনদ হবে কিনা– এমন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ১৫ আগস্ট কমিশনের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হবে।
বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নতুন সংবিধানসহ ২৪ দফা এনসিপির’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন সংবিধান প্রণয়নসহ ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে 'নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার' নামে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। এদিন বিকাল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার ঘোষণার কথা থাকলেও সেটি পড়া হয় সন্ধ্যা নামার মুহূর্তে। এর আগে একে একে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষা-স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান তৈরি ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার।
জুলাইয়ে গড়ে ওঠা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার দিকে দৃষ্টিপাত করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয় বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। সভাপতির বক্তব্যে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিক এক দফা কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে নয়, কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে নয়, কোনো দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। সেদিন এক দফা ঘোষণা করা হয়েছিল বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে। ফলে এক দফার প্রকৃত ঘোষক হলেন বাংলাদেশের জনগণ, বাংলাদেশের অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা এবং শহীদ ভাইবোনেরা।
আরেক শিরোনাম করেছে, ‘তারুণ্যের শক্তিতেই দেশ এগিয়ে নেবে বিএনপি’
তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি তারুণ্য ও নারীর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশ এগিয়ে নেবে। গতকাল বিকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশে তিনি এসব কথা জানান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই ছাত্র-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান বলেন, গত দেড় দশকে চার কোটির বেশি নতুন ভোটার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এবার তোমাদের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার সময়। ধানের শীষ প্রতীকে তোমাদের প্রথম ভোট হবে তোমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার। তিনি বলেন, চলো, আজ আমরা সবাই একসঙ্গে প্রতিজ্ঞা করি- আমাদের প্রথম ভোট হবে বাংলাদেশের পুনর্গঠনের জন্য। আমাদের প্রথম ভোট হবে শহীদদের রক্তের মর্যাদা রাখার জন্য। আমাদের প্রথম ভোট, হোক ধানের শীষের জন্য। ইনশাআল্লাহ।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ চারজনের বিচার চাইলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মণ, যিনি গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে এক চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তিসহ মুখমণ্ডলের স্বাভাবিক অবয়ব হারিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালে এই সাক্ষী শেখ হাসিনার পাশাপাশি মামলার সহ-আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিচার দাবি করেছেন। তাঁদের সঙ্গে বিচার চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানেরও।
রবিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন খোকন চন্দ্র বর্মণ।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘১০ লাখ টাকার বেশি আমানত ও সঞ্চয়পত্রে রিটার্ন বাধ্যতামূলক’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করে নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনার আলোকে ব্যাংক ঋণ ও আমানত এবং সঞ্চয়পত্রসহ ২৪টি সেবায় আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার দিয়ে সব তফসিলি ব্যাংককে জানিয়েছে, এখন থেকে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের আগে গ্রাহকদের আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি ১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত রাখেন বা ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে রিটার্ন বাধ্যতামূলক। শুধু এই তিনটি নয়, মোট ২৪টি ব্যাংক সেবার ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সমপ্রতি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে। গেজেট অনুযায়ী, এসব আর্থিক লেনদেন ও কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে, তা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ সেবা দিতে বাধ্য থাকবে না।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘শহীদদের পূর্ণ তালিকা হয়নি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ইতিহাস বদলে দেওয়া সেই শহীদদের যথাযথ সম্মান ও মর্যদা দেওয়া হচ্ছে না। এক বছরে শহীদদের পূর্ণাঙ্গ নির্ভুল তালিকা হয়নি। তাদের সংখ্যা নিয়ে সরকার এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের তথ্যে গরমিল রয়েছে। এছাড়াও শুরুতে নির্ভুল তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলেও বর্তমানে তা গতিহীন হয়ে পড়েছে। তাদের কবরগুলোও সংরক্ষণে তেমন উদ্যোগ নেই। এতে অনেক শহীদের নাম হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া আন্দোলনের শেষ সময়ে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে গণকবরে ১১৪ জনের লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এছাড়াও অভ্যুত্থানে শহীদ ছয়জনের লাশ এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। এগুলো শনাক্তে কার্যকর উদ্যোগ নেই। শহীদদের ব্যাপারে উদ্যোগ শুধু কথাতে ও কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। বাস্তবে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
এ ঘটনার সঙ্গে ১৯৭১ সালের একটি মিল দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ওই সময়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। ফলে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোও ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা করছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও নতুন পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলোও একই কাজ করছে। অথচ শহীদদের তালিকা তৈরির ব্যাপারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।
বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘মূলধনি যন্ত্রের ঋণপত্র খোলা কমায় ডলারের চাহিদা কম’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন অর্থবছরজুড়ে ডলারের তীব্র সংকটে ছিল বাংলাদেশ। এ কারণে ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারেননি। সংকট কাটিয়ে এ মুহূর্তে চাহিদার চেয়েও দেশে ডলারের জোগান বেশি। কিন্তু বাড়তি এ জোগান অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আমদানিনির্ভর বাংলাদেশে এলসি খোলার প্রবণতা ধারাবাহিকভাবে নিম্নমুখী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে আমদানির এলসি খোলা বেড়েছে ১ শতাংশেরও কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ হাজার ৮৮৯ কোটি ডলার বা ৬৮ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর গত অর্থবছরে এলসি খেলা হয়েছে ৬৯ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলারের। অর্থাৎ অর্থনীতির প্রয়োজন, আকার ও জনসংখ্যা বাড়লেও আমদানি প্রায় একই অবস্থায় থেকে গেছে।
অর্থনীতির স্বাভাবিক চাহিদা মেটাতে প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারে পণ্য আমদানি করতে হয়। গত অর্থবছরের শুরুতে আমদানির যে পরিস্থিতি ছিল, সেটির ধারাবাহিকতা শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা যায়নি। অর্থবছরের শেষ মাস তথা জুনে এলসি খোলার পরিমাণ মাত্র ৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, যা সাড়ে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুনেও ৫ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। সে হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায়ও জুনে ২৪ দশমিক ৪২ শতাংশ কম এলসি খোলা হয়েছে।
এমবি