Logo

গণমাধ্যম

আতঙ্কের জনপদ গাজীপুর, সাত মাসে ১০৩ খুন

Icon

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:২২

আতঙ্কের জনপদ গাজীপুর, সাত মাসে ১০৩ খুন

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ভর করছে দলগুলোর ওপর’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বা রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে আনা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে নিজ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেবে না জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তারা বলেছে, সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ভর করছে বিশেষজ্ঞ মতামত ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এজন্য আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। ওই আলোচনার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের তৃতীয় পর্বের আলোচনা হবে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা জানান। জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ কবে নাগাদ স্বাক্ষরিত হতে পারে, সেটাও মূলত নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর।

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘আতঙ্কের জনপদ গাজীপুর, সাত মাসে ১০৩ খুন’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে খুন হয়েছেন সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন। এক দল দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে দা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে  হত্যা করে। আগের দিন বুধবার বিকেলে নগরীর সাহাপাড়া এলাকায় বেদম মারধরের শিকার হন আরেক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন। প্রকাশ্যে টেনেহিঁচড়ে, পিটিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে তাঁর পা থেঁতলে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ দুই ঘটনার রেশ না কাটতেই শুক্রবার টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে একটি ব্যাগের ভেতরে পাওয়া যায় এক যুবকের খণ্ডিত মরদেহ। শুধু এ কয়েকটি ঘটনাই নয়; গত ৭ মাসে গাজীপুর মহানগর ও জেলায় ১০৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজনীতি, মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, পূর্বশত্রুতা, জমাজমি, পারিবারিক বিরোধসহ নানা কারণে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিন টঙ্গীসহ আশপাশ এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। প্রকাশ্যে চাপাতি নিয়ে হামলার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। 

পাশাপাশি গাজীপুর চৌরাস্তা, চান্দনা, টঙ্গী, নগরীর বেশ কিছু স্পট অপরাধীদের চিহ্নিত আস্তানা হয়ে উঠলেও তাদের প্রতিকারে জোরালো কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে গাজীপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলছেন। 

বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘শিগগিরই আসছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত ঘোষণা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বিগত ১৪-১৫ বছরে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এবার সব নাগরিক নির্বাচিত প্রতিনিধি চায়। আমরা প্রত্যাশা করছি সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এবার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। গতকাল জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে ভিন্নমত ছাড়া ১১টি বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। বাকি নয়টি বিষয়ে অধিকাংশ দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে জুলাই সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারো আলোচনায় বর বসবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত এবং প্রত্যাশিত স্বাক্ষরিত সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা দরকার। সেই লক্ষ্যে কমিশন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আলোচনা করবে। আশা করা যায়, এ প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত দুই পর্বের আলোচনায় কাঙ্খিত জাতীয় সনদ প্রনয়নের লক্ষ্যে তাৎপর্য সংখ্যক সুপারিশ বা সংস্কার ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য সম্ভব হয়েছে। প্রথম পর্বের সংলাপে ১৬৫টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬২টি রাজনৈতিক ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে। যার কিছু কিছু সরকার এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করেছে (অধ্যাদেশ, নীতি ও নির্বাহী সিদ্ধান্তে মাধ্যমে)। দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ ২০টি সাংবিধানিক ইস্যুতে আলোচনা হয়। সেখানে ১১টি বিষয়ে সব দলের সমর্থনে জাতীয় ঐকমত্য এবং বাকী ৯টি বিষয়ে অধিকাংশ দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তাতে কোন কোন দলের ভিন্নমত উল্লেখ থাকবে। প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর বিরূপ মনোভাবের কারণে ২৫টি বিষয়ে আলোচনা হয়নি।

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা বাড়ছে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দুর্নীতি উন্মোচন করতে গিয়ে চরম বিপদের মুখোমুখি হচ্ছেন দেশের সাংবাদিকরা। সত্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। কথায় কথায় সন্ত্রাসীরা তাঁদের দিচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। এমনকি পুলিশ সদস্য বা অন্য সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা বাড়ছেসাংবাদিককে তলবও করা হচ্ছে।

সন্ত্রাসীদের কথা না মানলে অনেক ক্ষেত্রে নৃশংসভাবে হত্যাও করা হচ্ছে সাংবাদিকদের। গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

এক বছরে দেশে ৪৯৬ সাংবাদিক হয়রানির শিকার : ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গত জুলাইয়ের মধ্যে দেশে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন।

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘আতঙ্ক : ২৪ ঘণ্টায় চার জেলায় ৫ হত্যাকাণ্ড, ৬ মাসে সারা দেশে ১৯৪১ খুন’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাড়ছে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য। প্রকাশ্যে ঘটছে একের পর এক লোমহর্ষক-বীভৎস হত্যাকাণ্ড। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের চার জেলায় ৫টি নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। পুলিশের হিসাব মতে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৯৩১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ঢাকা রেঞ্জে।

সবচেয়ে বেশি খুন হয়েছে জুন মাসে। বিভিন্ন অপরাধে সারা  দেশে মামলা হয়েছে ৯১ হাজার ৩৯৪টি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মূল ভূমিকায় থাকা পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩২৯টি। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুরোপুরি কঠোর ও আরও সক্রিয়তা জরুরি। এদিকে উদ্ধার না হওয়া অস্ত্রগুলো বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। 

যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র অব্যাহত, সক্রিয় হচ্ছে ‘হিট প্ল্যান-২’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ‘আগস্ট রিটার্ন হিট প্ল্যান’ ভেস্তে গেছে। যদিও এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধাপে ধাপে ছিল ভয়াবহ সব নাশকতার ছক। দেশবিরোধী এসব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একদল দেশপ্রেমিক পেশাদার কর্মকর্তা। এই টিমে সেনা ও পুলিশ বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বিত টিম নানাভাবে রাত-দিন কাজ করেছে।

এর ফলে এখন বলা যায়, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রথমদফার অপতৎপরতার ছক একে একে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তারা বসেও নেই। ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেজন্য দ্বিতীয় ধাপের ষড়যন্ত্রের ছক হাতে নিয়েছে। যা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে চায়। পুলিশের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

নয়া দিগন্ত প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ঝুঁকি নিয়েই উড়ছে বোয়িং-৭৩৭’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা আধুনিক প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৩৭-৮০০ দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ফ্লাইট চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই উড়োজাহাজটি ছয় মাস বিমানের হ্যাংগারেই পড়েছিল। দীর্ঘদিন মেরামতের পর জোড়াতালি দিয়ে ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট চালানোর দিনই আবারো বাদ সাধে যান্ত্রিক ত্রুটি। তা-ও আবার মধ্য আকাশে। উড়োজাহাজের ত্রুটি আঁচ করতে পেরে অভিজ্ঞ পাইলট গন্তব্যে না গিয়ে মাঝপথ থেকেই ফ্লাইট ঘুরিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান পাইলট, কেবিন ক্রুসহ ওই ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের জীবন।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলছেন, জোড়াতালি দিয়ে ফ্লাইট চালানোর পর আল্লাহ না করুক যদি বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তখন তাদের (কর্তৃপক্ষ) কি করার থাকবে? বড় জোর তদন্ত কমিটি করবে, ক্ষতিপূরণ দেবে, কিন্তু জীবন কি আর তারা ফিরিয়ে দিতে পারবে?

গত ৬ আগস্ট বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ১৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে বিমানের (বোয়িং-৭৩৭-৮০০) ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। প্রায় ৩৫ মিনিট উড়ার পর হঠাৎ বিমানে ঝাঁকুনি অনুভূত হতে শুরু করে। পাইলট ও কো-পাইলট বিষয়টি টের পেয়ে কালবিলম্ব না করে ঢাকার কন্ট্রোল টাওয়ারে যোগাযোগ করে ফেরত আসার কথা জানান। এরপর বেলা ১টা ১৫ মিনিটে ব্যাংককগামী ফ্লাইটটি ঢাকায় নিরাপদেই অবতরণ করে। যাত্রীদের নামিয়ে উড়োজাহাজটির ত্রুটি সারাতে পাঠানো হয় বিমানের নিজস্ব হ্যাংগারে। ওই ফ্লাইটের ১৪৬ যাত্রীকে ৬ ঘণ্টা পর অবশ্য বিমানের অপর একটি ফ্লাইটে ব্যাংককে পাঠানোর ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর