-6898205030ef2.jpg)
প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনকে আবারও আলোচনায় বসতে হবে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীর প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলের আচরণ পশ্চাৎগামী। জুলাই ঘোষণাপত্র থেকে সচেতনভাবে নারী শব্দটিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নারীর মনোনয়ন নিয়ে ‘মাছের বাজারের’ মতো দর-কষাকষি করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। কমিশন ও দলগুলোর এই রক্ষণশীল অবস্থানের জন্য ভবিষ্যতে তাদের খেসারত দিতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে।
শনিবার প্রথম আলো আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আগামী নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন ও নারীর মনোনয়ন নিয়ে কমিশন ও রাজনৈতিক দলের অবস্থান নিয়ে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আশায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু বৈষম্য বিলোপে সরকার ব্যর্থ। নারী আসন ও মনোনয়ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এ আলোচনায় তাঁরা নারীদেরও রাখার দাবি জানিয়েছেন।
সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমেছে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওষুধ প্রস্তুতকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) উৎপাদন করা ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমেছে। প্রকারভেদে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য কমানো হয়েছে। এই তালিকায় অতিপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক এবং নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানির ওষুধ ও ভিটামিন রয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও পাঁচটি ওষুধের দাম কমানো হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন শাখা থেকে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম ওষুধের দাম কমালেন তারা। ১৪০টির মতো ওষুধ উৎপাদন করে ইডিসিএল। ধীরে ধীরে সব ওষুধের দাম কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ পাবে সরকার। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে রোগীরা আরও বেশি ওষুধ বিনামূল্যে পাবেন।
বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সাবেক ভূমীমন্ত্রীর লুটপাটে দুরবস্থা ইউসিবির’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসি বড় পরিসরে খেলাপি ঋণের ভারে ধুঁকছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যার বিপরীতে বড় অঙ্কে সঞ্চিতি গঠনের প্রয়োজন। কিন্তু ব্যাংকটি নগদ অর্থের অভাবে সেই সঞ্চিতি গঠন করতে পারছে না। উল্টো ব্যবসা পরিচালনায় ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৯৭৩ কোটি টাকা। সঞ্চিতি ঘাটতি ধরে হিসাব করলে ব্যাংকের মোট ঘাটতি দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকার বেশি। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা ঋণের নামে ব্যাংকটি থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুট করায় এই দুরবস্থায় পড়েছে ইউসিবি।
ব্যাংকটির নিরীক্ষক জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউসিবি মোট ৫৭ হাজার ২৮২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ঋণ ও অগ্রিম বাবদ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৫৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা শ্রেণিকৃত (মন্দ ঋণ) হিসেবে পরিণত হয়েছে। নিয়ম অনুসারে এই ঋণ ও অগ্রিমের বিপরীতে ব্যাংকটিকে ৬ হাজার ৫৫ কোটি ১২ লাখ টাকা সঞ্চিতি গঠন করতে হতো। কিন্তু আলোচিত সময়ে ব্যাংকটি এর বিপরীতে মাত্র ২ হাজার ৭০৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা সঞ্চিতি গঠনে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ খেলাপি ঋণ ও অগ্রিমের বিপরীতে প্রয়োজনীয় ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা সঞ্চিতি গঠনে ব্যর্থ হয়েছে ব্যাংকটি।
এদিকে ব্যাংকটি কয়েকটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) ১৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখেছিল, যার মেয়াদ কয়েক বছর আগেই শেষ হলেও উত্তোলন সম্ভব হয়নি। এই অর্থ কখনো উত্তোলন করা সম্ভব হবে কী-না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘রেকর্ড রেমিট্যান্সে অর্থনীতিতে গতি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয় দেশের অর্থনীতিতে অনন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। দেশের বাইরে কর্মরত লাখো প্রবাসীর পাঠানো এই অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সরাসরি অবদান রাখে, তা-ও কোনো পূর্ববিনিয়োগ ছাড়াই। এমনকি এটি অন্যান্য বৈদেশিক আয়ের উৎস, বিশেষ করে রপ্তানির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ও লাভজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রপ্তানি আয়ের জন্য কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও উৎপাদন অবকাঠামো আমদানি করতে হয়, যার পেছনে থাকে বড় অঙ্কের মূলধনী ব্যয়। ফলে রপ্তানি থেকে যে আয় আসে, তার সঙ্গে আমদানির খরচ বাদ দিলে নিট আয় তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বিপরীতে একজন প্রবাসী শ্রমিক বিদেশে গিয়ে যে অর্থ পাঠান, তা পুরোপুরি নিট বৈদেশিক আয় হিসেবে গণ্য হয়।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্সপ্রবাহ ছাড়িয়েছে ৩০.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। রেমিট্যান্সপ্রবাহে এমন জোয়ারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা স্থিতিশীলতা পাচ্ছে, যা সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ক্যাপসুল সরবরাহ নেই, ধুঁকছে ক্যান্সার চিকিৎসা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা আয়োডিন থেরাপি। সাধারণত সার্জারির পর এ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের রেডিও আয়োডিনের মাধ্যমে আয়োডিন থেরাপি দেয়া হয়। লিক্যুইড রেডিও আয়োডিন ও আয়োডিন ক্যাপসুলের মাধ্যমে এ থাইরয়েডের চিকিৎসা হলেও দেশে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে রেডিও আয়োডিন ক্যাপসুলের মাধ্যমে চিকিৎসা। প্রায় ছয় মাস ধরে দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদান সরবরাহ করতে পারছে না সরকার।
সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রেডিও আয়োডিন সরবরাহ করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। দেশে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আওতাভুক্ত পরমাণু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বন্ধ হয়ে আছে আয়োডিন থেরাপি। থাইরয়েড ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীদের সার্জারির পর ছয় মাস ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে সার্জারি করা রোগীদের। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে রেডিও আয়োডিন লিকুইডের মাধ্যমে কোনোভাবে চিকিৎসা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে সংকটাপন্ন রোগীদের। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেসের প্রধানরা জানিয়েছেন, খুব সামান্য পরিমাণ রোগীদের লিকুইডের মাধ্যমে চিকিৎসা চালাচ্ছেন তারা। তবে, সরকার জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে সরবরাহ পাবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সক্রিয় ৯৭২ ছিনতাইকারী’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন জেলখানাসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল মোরশেদ আলম তানিম (১৮)। সেখানে দুই ছিনতাইকারী পেছন থেকে এসে তাকে ধরে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তানিম বাধা দিলে তার পেটে চাকু মারে ছিনতাইকারীরা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জুলাই ভোরে মারা যান তিনি। এছাড়া ১৭ জুলাই রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিউ মডেল বহুমুখী হাইস্কুলের বিপরীত পাশে চাপাতি দেখিয়ে ছিনতাই করার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, চাপাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এক ব্যক্তি। পরে মূল সড়কে এসে ট্রাফিক পুলিশের পাশ দিয়েই চলে যাচ্ছে ওই ছিনতাইকারী।
শুধু পুরান ঢাকা বা ধানমন্ডি নয়, মগবাজার, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, মিরপুর, উত্তরা, গুলশানসহ ঢাকা নগরীর প্রায় সব স্থানেই প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় ছিনতাইয়ের ঘটনা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাজধানীবাসীর কাছে এখন ছিনতাই এক আতঙ্কের নাম। সন্ধ্যা নামলেই তৎপরতা বাড়ে ছিনতাইকারীদের। সড়কের ফুটপাতে চলার পথে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে নেওয়া হচ্ছে সর্বস্ব। যানবাহন থামিয়েও প্রকাশ্যে ছিনতাই করা হচ্ছে। ছিনতাইকারীদের চাকু বা খুরের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে প্রাণও দিচ্ছেন অনেকে। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে-রাজধানীর এসব ছিনতাইকারীর বেশির ভাগই পুলিশের তালিকাভুক্ত। এমনকি কে কোন এলাকায় থাকে, তার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে ৯৭২ জন ছিনতাইকারী যে সক্রিয়-সেই তথ্য আছে। এরপরও কেন ছিনতাইকারীদের অবাধ বিচরণ-এমন প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট সবার।
বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘মাধ্যমিক শিক্ষার মানে অবনমন ঘটছে ১০ বছর ধরে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস র্যাংকিংয়ের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক পরিসরে কোন অবস্থানে আছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। প্রতি বছর তথ্য হালনাগাদ হওয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান, পরিস্থিতি ও শিক্ষার মানের উন্নয়ন বা অবনমনের চিত্র সহজেই উঠে আসে। তবে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত এমন কোনো আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সংযুক্ত নয়। ফলে বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কেমন তা নিয়মিত জানার বা তুলনা করার সুযোগ নেই।
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিপরীতে বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার মানের একটি চিত্র উঠে এসেছিল বিশ্বব্যাংকের হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্সের প্রতিবেদনে। এ ইনডেক্স অনুযায়ী বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী ১০ বছর ২ মাস শিক্ষাজীবন শেষে অর্থাৎ একাদশ শ্রেণীতে যা শিখছে তা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ছয় বছরের অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণীর দক্ষতার সমান। এ ইনডেক্সে বাংলাদেশের সর্বশেষ ২০২০ সালের তথ্য রয়েছে।
হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্সের আগের সংস্করণের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, দিন দিন বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মানে অবনমন ঘটছে। ইনডেক্সের ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী ওই সময়ে বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী ১০ বছর ২ মাস শিক্ষাজীবন শেষে যে দক্ষতা অর্জন করত, তা ছিল আন্তর্জাতিক মানে ৬ বছর ৫ মাস বা সপ্তম শ্রেণীর দক্ষতার সমান। শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মানের আরো অবনমন ঘটেছে।
এমবি