-68903dd884fb9-689971ad9838a.jpg)
প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘আলোচনায় গণভোটসহ কয়েকটি বিকল্প পদ্ধতি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রোববার প্রথম দিনের বৈঠকে ছয়জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়ে একাধিক বিকল্প পরামর্শ এসেছে। এর মধ্যে আছে গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন, জুলাই সনদকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ (রেফারেন্স), বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা দেখা।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আইন ও সংবিধানবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এ সময় অধ্যাদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও উঠে আসে। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দুই পর্বের আলোচনায় ৮২টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। তবে এই সনদ তথা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন নির্যাতনও বাড়ছে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপদগ্রস্ত শিশুদের সাহায্য করতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের চালু করা চাইল্ড হেল্পলাইনে গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে সহায়তা চেয়ে ফোনকল এসেছে ২৬ হাজার ১০০টি। গত বছরের একই সময়ে হেল্পলাইনে ফোন এসেছিল ১৯ হাজার ২৬৫টি। গত বছরের তুলনায় এ বছর শিশু নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনায় সহায়তা চাওয়ার ঘটনা বেড়েছে প্রায় সাত হাজার।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যানেও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার চিত্র দেখা গেছে। তাদের তথ্যমতে, গত সাত মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৬৪০ শিশু। গত বছরের একই সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ৪৬৩ শিশু। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩০৬ শিশু। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১৭৫। তার আগের বছর (২০২৩) একই সময়ে সহিংসতার ঘটনা ছিল ৬১৮ এবং ধর্ষণের শিকার হয় ১৯৪ শিশু।
বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও স্বস্তিতে নেই বিএনপি : সামনে চ্যালেঞ্জের পাহাড়’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের রাজনীতির মাঠ এখনো অস্থির। এই অস্থিরতার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি, কিন্তু বিএনপির সামনে দাঁড়িয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ। অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের নিপীড়ন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে দলটির প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থন তুঙ্গে। কিন্তু ক্ষমতার হাতছানির সঙ্গে দলটির সামনে উপস্থিত হয়েছে কঠিন বাস্তবতা এবং পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ। দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে দখল, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ, ইসলামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব এবং দলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয়হীনতা- এই সংকট বিএনপির অর্জিত বিপুল জনসমর্থনকে এক বড় অগ্নিপরীক্ষার সামনে দাঁড় করিয়েছে।
যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতন ঘটানোর পর বিএনপি এখন তার সাথীদের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে তৎপর, কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ বিতর্ক, আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির অভিযোগ এবং ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব-এসব কারণে আগামী নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন ধরে রাখা দলটির জন্য বড় পরীক্ষা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চ্যালেঞ্জগুলোকে সামলাতে না পারলে বিএনপির পুনরুত্থান ব্যাহত হতে পারে।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বেকারত্বেও বাড়ছে অপরাধ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিল্পনগরী গাজীপুরে নতুন আতঙ্ক বেকার হওয়া শ্রমিক। তাঁদের অনেকে চুরি ছিনতাই ও প্রতারণার মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত ছয় মাসে শুধু গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে এক হাজার ৬০০ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে আট শতাধিক হচ্ছে বন্ধ হয়ে যাওয়া গার্মেন্ট ও অন্যান্য কারখানার বেকার শ্রমিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেকার সমস্যার সমাধান, যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালনা করা, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হলে এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। একটি সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমেই গাজীপুরসহ সংশ্লিষ্ট অপরাধপ্রবণ এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তাতে জনজীবনে শান্তি ও নিরাপত্তার সম্ভাবনা আবার তৈরি হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ-জিএমপির তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি গাজীপুরে অপরাধ বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ বেকারত্ব ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘যে কৌশলে এগুচ্ছে বিএনপি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কৌশলে এগুচ্ছে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোটদের এক কাতারে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি। জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি। এমনকি জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সমমনাদের নিয়েই সরকার গঠন করবে। এখান থেকে এক চুলও সরে আসবে না তারা। সমমনাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আহ্বানও জানিয়েছে।
একইসঙ্গে ঐক্য ধরে রাখার উপরেও গুরুত্বারোপ করেছে বিএনপি। সমমনাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, টানাপড়েন ও মতবিরোধ সুরাহা করার পরামর্শ দিয়েছে দলটি। বিএনপি ও সমমনা দলের নেতারা জানিয়েছেন, আন্দোলনের সঙ্গীদের নিয়েই ভবিষ্যতে পথ চলবে বিএনপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে সমমনাদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে ৩১ দফা নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ওদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি’র বিরুদ্ধে মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা ছাড়ানোর বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা করেছেন নেতারা। এনিয়ে অনলাইন ও অফলাইনে সতর্ক থাকাসহ জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সামনে দল জোটগুলোর সঙ্গে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করবে। এসব বৈঠকে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘হাসিনার নির্দেশেই ঢাকায় সব গণহত্যা, মিশন বাস্তবায়নে হাবিব’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ছিলেন বেপরোয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই পুলিশ কর্মকর্তা রাজধানীতে সংঘটিত সব গণহত্যার মিশন বাস্তবায়ন করেন।
তার উপস্থিতিতেই পুলিশ ১৯ জুলাই রামপুরায় আন্দোলনকারী নাদিম ও বৃদ্ধ মায়া ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে। এদিন আহত হয় ৬ বছরের শিশু বাসিত খান মুসা ও আমির হোসেন নামের এক যুবক। এছাড়াও এদিন আরও অন্তত ২৩ জনকে গুলি করে হত্যা এবং বহু মানুষকে আহত করে পুলিশ। রামপুরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগপত্রে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
রোববার মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এ মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তারা সবাই পলাতক। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলা আমলে নিয়ে পরোয়ানা জারি করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘জিয়াউর রহমানের উদ্যোগ বাতিল করেন এরশাদ : এসএসপি অকার্যকরে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব আরো পাকাপোক্ত হয়’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের উচ্চপদে পদায়নে বৈষম্য নিরসনসহ বেশকিছু লক্ষ্য নিয়ে সিনিয়র সার্ভিস পুল (এসএসপি) চালু করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জনমুখী, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও দক্ষ প্রশাসন কাঠামো গড়ে তুলতে এসএসপির মাধ্যমে সে সময় লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চপদের জন্য বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। এতে জনপ্রশাসনে প্রশাসন ক্যাডারের প্রাধান্য কমে যাওয়ার বাস্তবতা তৈরি হয়। তাই সে সময় প্রশাসন ক্যাডারদের একটি অংশ এর বিরোধিতা করেন। ফলে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সেভাবে গতি আসেনি। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর এসএসপির কার্যক্রম অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং পরে এরশাদ সরকার সেটি বাতিল করে। বিশ্লেষকরা বলেন, এর মধ্য দিয়ে জনপ্রশাসনে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব পাকাপোক্ত হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী আমলাতন্ত্রে ঔপনিবেশিক আমলের প্রভাব কাটাতে এবং অন্যান্য পদের ওপর প্রশাসন ক্যাডারের প্রাধান্যের অবসান ঘটাতে ১৯৭৯ সালের ২৩ আগস্ট এসএসপি গঠন করে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সরকার। এ পুলে সে সময় পদ ছিল ৬২৫টি। ওই সময় উপসচিব থেকে ওপরের পদে কর্মকর্তাদের জন্য গঠিত এসএসপি সব ক্যাডারের জন্য উন্মুক্ত ছিল। পুলে লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার থেকে আসা কর্মকর্তাদের জন্য যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি স্তরবিন্যাসের সর্বোচ্চ পদে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের পর আগের সরকারের তৈরি করা এসএসপি অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং ১৯৮৯ সালে তা বিলুপ্ত করা হয়।
এমবি