-68903dd884fb9-689971ad9838a-68a007bd42161-68a806bb7d4cb.jpg)
প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বিশ্ববাজারে পণ্যের দরপতন, বাংলাদেশে সুফল কম’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম অনেকটাই কমে গেছে। এমনকি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দর এখন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগের চেয়েও কম। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মূল্যস্ফীতিও অনেকটা কমিয়ে এনেছে। কিন্তু বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনো চড়া।
২০২২ সালে দেউলিয়া হওয়া শ্রীলঙ্কায় এখন মূল্যস্ফীতি, অর্থাৎ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে না, বরং কমছে। মূল্য সংকোচনের হার শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়া পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালে ৩৫ শতাংশ ছাড়িয়েছিল। সেটা এখন নেমেছে ৪ শতাংশের কাছাকাছি। ভারতে মূল্যস্ফীতি এখন একেবারেই কম (১ দশমিক ৫৫ শতাংশ)। নেপালেও তাই (২ দশমিক ৭২)। বিপরীতে বাংলাদেশে এখনো মূল্যস্ফীতি চড়া, যা গত জুলাই মাসে ছিল সাড়ে ৮ শতাংশের বেশি।
সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বন্ধ করা হচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয়াবহ খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকবহির্ভূত ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমানতকারীর টাকা ফেরত দিতে না পারা, উচ্চ খেলাপি ঋণ ও মূলধন ঘাটতি– এই তিন সূচকের ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়েছে এর আগে গত মে মাসে খারাপ অবস্থায় থাকা ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় ৯ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান অবসায়নে সরকারের ৯ হাজার কোটি টাকা লাগবে বলে জানা গেছে।
বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো– পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, আভিভা ফাইন্যান্স, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি ও প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, জাতিসংঘের জুলাই প্রতিবেদন 'ঐতিহাসিক দলিল'প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমাতে নিপীড়ন আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাবলি নিয়ে তৈরি করা জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিবেদনকে 'ঐতিহাসিক দলিল' ঘোষণা দিয়ে গেজেট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনে দেওয়া রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীর আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পরে সাংবাদিকদের বলেন, 'জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে 'ঐতিহাসিক দলিল' হিসেবে ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদনকে 'জুলাই রেভুলিউশন-২০২৪' হিসেবে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামীতে নির্বাচিত সরকার এসে বিচারের প্রক্রিয়াকে যাতে প্রভাবিত করতে না পারে, সে জন্য এ রিট মামলাটি চলমান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
তানভীর আহমেদ বলেন, 'গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসককে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে দায়ীদের' বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১৩ অগাস্ট হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন তিনি। এর মধ্যে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ এবং গুরুতর আহতসহ অনেক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিবেদন দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দল।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘৫ কম্পানির পেটে ৫৪৯২ কোটি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদারকির অভাবে গ্রাহকের সঙ্গে বেপরোয়া স্বেচ্ছাচারে জড়িত দেশের বেশ কিছু বীমা কম্পানি। গ্রাহকদের পাওনা বীমা দাবির হাজার হাজার কোটি টাকা শোধ না করে নানা ছুতায় তারা তা আটকে রেখেছে। এ রকম পাঁচ বীমা কম্পানির কাছেই গ্রাহকের পাওনা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বীমা খাতের ৭৮ কম্পানির কাছে সাত হাজার ১৫৮ কোটি টাকা গ্রাহকরা পেলেও মাত্র পাঁচটি কম্পানির কাছেই পাওনা ৭৭ শতাংশ টাকা।
জানা যায়, কম্পানিগুলোর সীমাহীন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে পুরো বীমা খাত এখন ধুঁকছে। সেবার মান তলানিতে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, এই খাতে টাকা জমা দিলেও তা সঠিকভাবে কম্পানিতে জমা হয় না। তাঁদের টাকা নিয়ে অনেক এজেন্ট পালিয়েছেন। আর যে টাকা কম্পানির কাছে জমা হয়েছে তাও নানা কৌশলে আটকে দিচ্ছে কিছু কম্পানি। তাঁদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ বীমা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ঘুরেও বীমা দাবির টাকা তুলতে পারছেন না। এমন কর্মকাণ্ডে বর্তমানে তীব্র আস্থা সংকটে পড়েছে খাতটি।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নির্বাচনি জোট গঠনের চেষ্টায় জামায়াত : অধিকাংশ ইসলামি দলের না’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে যেতে চাচ্ছে না অধিকাংশ ইসলামি দল। এসব দলের নেতারা জোট বেঁধে ভোটে যাওয়ার ব্যাপারে সরাসরি কিছু না বললেও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের দলের আদর্শ ও চিন্তাধারার পার্থক্য সামনে আনছেন। কাজেই জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামি দলগুলোর সমন্বয়ে একটি জোট গঠনের আলোচনা বেশ কিছু দিন ধরে শোনা গেলেও তা খুব সহজ হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, এই জোট বা সমঝোতার বিষয়টি এখনো টেবিল আলোচনায়ই সীমাবদ্ধ। দিন যত গড়াচ্ছে, বৃহৎ জোট বা সমঝোতা নিয়ে দেখা দিচ্ছে নানা সন্দেহ ও সংশয়। এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত সব দল মিলে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করছেন বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতারা। দলগুলোর অনেক নেতা জামায়াতের সঙ্গে জোট করবেন না-বিষয়টি এখনই প্রকাশ্যে বলতে চান না। তারা পৃথক ইসলামি জোট করার কথাও ভাবছেন। তবে জামায়াতে ইসলামী জোট করার বিষয়ে এখনো আশাবাদী। বেশ কয়েকটি দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর থেকেই দেশে নির্বাচনের পালে হাওয়া লেগেছে। ভোটে নামার আগে সব ইসলামি দল নিয়ে একটি বৃহৎ ঐক্য করতে চাইছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারা এক ছাতার নিচে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। এ বিষয়ে ইসলামপন্থি বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ দলই জামায়াতের সঙ্গে জোট না করার বিষয়ে আগ্রহী। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রক্রিয়ায় সব ইসলামি দল যে জামায়াতের সঙ্গে থাকছে না, সেটা ইতোমধ্যে প্রায় স্পষ্ট হয়ে গেছে।
বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণে বড় ঝুঁকি একটি খাতের ওপর রফতানিনির্ভরতা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের পণ্য রফতানির মোট অর্থমূল্য ছিল ৪৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার, যার ৮১ দশমিক ৪৯ শতাংশই তৈরি পোশাক। রফতানিতে এ একটি খাতের ওপর নির্ভরতা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের জন্য বড় ঝুঁকির কারণ হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স বা ইউএন ডিইএসএর ট্যারিফ ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে এ পর্যালোচনা উঠে এসেছে।
‘ট্যারিফ শকস অ্যান্ড গ্র্যাজুয়েশন ফ্রম দ্য লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি ক্যাটাগরি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে (৩ জুলাই প্রকাশিত) বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিলে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণায় এলডিসি দেশগুলোর উন্নয়ন ও গ্র্যাজুয়েশন সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এমবি