Logo

গণমাধ্যম

এমন পরিণতি যেন আর কারও না হয় : বিভুরঞ্জনের ছোট ভাই

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৬

এমন পরিণতি যেন আর কারও না হয় : বিভুরঞ্জনের ছোট ভাই

সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকারের ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার। ছবি : সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজের পরদিন সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকারের (৭১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে তার লাশ শনাক্ত করেন বিভুরঞ্জনের ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার।

পরে বিভুরঞ্জনের ভাই বলেন, ‘তিনি কীভাবে মারা গেলেন, সেটি আমরা জানি না। আমি শুধু এই টুকুই বলব, এমন পরিণতি যেন আর কারও না হয়।’

‘পরিবারের কারও সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য ছিল না’ জানিয়ে চিররঞ্জন সরকার বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে কিছু ছিল কি না আমরা জানি না। এটি আত্মহত্যা, না খুন, না পরিকল্পিত কোনো ঘটনা, আমরা জানি না। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটা আমার দাদা বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অফিসে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয় সে। পরে বৌদি দাদাকে ফোন দেয়। ফোন বন্ধ পেয়ে অফিসে ফোন দেয়। পরে জানতে পারে অফিসেও যায়নি। এরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ওইদিন রাতেই রমনা থানা একটি মিসিং ডাইরি করি।’

চিররঞ্জন সরকার বলেন, দাদার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে বাসায়ই রেখে বের হয়েছিলেন।

বিভুরঞ্জনের ছেলে ঋতু সরকার বলেন, ‘বাবা বৃহস্পতিবার সকালে মাকে বলে গিয়েছিল বিকেল ৫টায় বাড়ি ফিরবে। প্রতিদিন বিকেলের দিকেই বাড়ি ফেরে। ওইদিন ফোন বাড়িতে রেখেছিল। মাঝে মধ্যে বাড়িতে ফোন রেখেই যান।’ তিনি বলেন, ‘খোলা চিঠির ব্যাপারের আজই জানতে পারি। এ বিষয় আমাদের কারও জানা ছিল না।’

বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকার সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার কথা বলে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

কলাগাছিয়া নৌ ফাড়ির ইনচার্জ মো সালেহ আহমেদ পাঠান বলেন, উদ্ধারের সময় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সে উপুড় হয়ে মেঘনা নদীতে ভাসছিল। তার গলায় পরিহিত চশমাও ঝুলছিল।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু উদ্ধারস্থল মুন্সীগঞ্জের চরবলাকী গ্রাম ঘেঁষা মেঘনা নদী, তাই ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে। খবর পেয়েছি, তার স্বজনরা ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে।

রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম বলেন, বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার বৃহস্পতিবার রাতে একটি জিডি করেছেন। মোবাইল ফোন সঙ্গে না নেওয়ায় প্রযুক্তিগতভাবে তার সর্বশেষ অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে। এগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার গতিপথ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে অন্যান্য সূত্র থেকে এ বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে।

ডিআর/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

গণমাধ্যম নিহত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর