Logo

গণমাধ্যম

নতুন শর্তে কাবু কমিশন

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১

নতুন শর্তে কাবু কমিশন

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘জমির বিরোধে খুন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, তবু তাঁরা জুলাই শহীদ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর ওয়ারীতে গত বছরের ১৪ আগস্ট কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিএনপি নেতা মো. আল-আমিন ভূঁইয়া ও তাঁর ছোট ভাই নুরুল আমিনকে। স্বজনেরা জানিয়েছেন, এই খুনের নেপথ্যে ছিল জমিসংক্রান্ত বিরোধ। যদিও আল-আমিনকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হিসেবে প্রজ্ঞাপনভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ ও নিহতদের চারজন স্বজনের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। পাশাপাশি বিশ্লেষণ করা হয়েছে মামলার নথি। স্বজনেরা স্বীকার করেছেন, আল-আমিন ভূঁইয়া ও নুরুল আমিন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হননি। আল-আমিনের বোন মারহুমা প্রথম আলোকে বলেন, হত্যার ঘটনায় তাঁরা ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন। জড়িত আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তাহলে শহীদদের তালিকায় নাম কীভাবে উঠল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আর কথা বলবেন না।

বিগত দুই মাস অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, সরকারি তালিকায় থাকা ৮৩৪ জনের মধ্যে অন্তত ৫২ জন রয়েছেন, যাঁরা আসলে শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য নন। তাঁদের মধ্যে আগুনে পুড়ে ৩৫, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১, অসুস্থ হয়ে ২, পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যা, দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষে ৪ এবং অন্যান্য কারণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর পাঁচজনের মধ্যে নিহত তিনজন পুলিশের সদস্য, একজন ছাত্রলীগ নেতা এবং একজন আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী, যাঁদের নাম শহীদদের তালিকায় ওঠানোর সুযোগ নেই।

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিচারও হবে ট্রাইব্যুনালে: চিফ প্রসিকিউটর’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হবে। এ ধরনের অপরাধের বিচার কোনো অভ্যন্তরীণ সামরিক আদালত বা দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আদালতে সম্ভব নয়। রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

এদিন আশুলিয়ায় ছয় হত্যা মামলার প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য শেষে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানতে চান, ডিফেন্সের (সশস্ত্র বাহিনী) উচ্চপদে যারা আছেন, তাদের বিচার এই ট্রাইব্যুনালে হবে, নাকি অন্য আদালতে হবে? জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এর বিভিন্ন ধারা-উপধারা তুলে ধরে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই বিতর্ক অহেতুক ও অপ্রাসঙ্গিক। মূলত আইনটি তৈরিই করা হয়েছিল এ অপরাধে যুক্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিচারের জন্য। এর মধ্যে সম্প্রতি আইনটি সংশোধন করে আরও কিছু উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।’ এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আমরা রায়ের সময় এটা উল্লেখ করে দেব।’ 

বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচনের 'মহোৎসব'
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন হবে 'মহা উৎসব', যা জাতির জন্য নবযাত্রার সূচনা ঘটাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর দলগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনাকে 'অভূতপূর্ব অধ্যায়' অভিহিত করে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, এ আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের একটি মাইলফলক তৈরি হয়েছে। রোববার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তারা এসব অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। সে নির্বাচন মহোৎসবের নির্বাচন হবে। যদি আমরা আমাদের এগুলো ফয়সালা করে ফেলতে পারি তাহলে এটা মহা উৎসব এবং জাতির সত্যিকার নবজন্ম হবে। এটা শুধু নির্বাচন না, এটা মহা উৎসব।' তিনি বলেন, এই একমাত্র সুযোগ এবং আমাদের এটা গ্রহণ করতেই হবে। এটা থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোনো উপায় নেই। সমঝোতা বলেন, ঐক্য বলেন আর যাই বলেন, যখন নির্বাচনে যাবো তখন একমত হয়ে সবাই যাবো। এর মধ্যে কোনো দ্বিমত আমরা রাখবো না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আসতেই হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কাছে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশন গঠনের সময় তিনি নিশ্চিত ছিলেন না এ উদ্যোগ সফল হবে কি না। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনা ও ধৈর্যের মধ্য দিয়ে কমিশনের সদস্যরা একটি 'অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত' স্থাপন করেছেন। আপনারা মূল কাজটা করে ফেলেছেন, সামান্য রাস্তা বাকি। সবকিছু নির্ভর করছে শেষ অংশটুকুর ওপর। বাকি রাস্তাটুকু যেন আপনারা সুন্দরভাবে সমাপ্ত করেন, পৃথিবীর জন্য নজির সৃষ্টি করেন।

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ বিপর্যয়’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চিত ব্যাবসায়িক পরিবেশ আর অবকাঠামোগত দুর্বলতার ঘূর্ণাবর্তে থমকে দাঁড়িয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের স্বপ্ন। লাখো মানুষের কর্মসংস্থান আর শিল্পায়নের মহাপরিকল্পনা অনেকটাই ফিকে হয়ে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে উঠে এসেছে এক অপ্রত্যাশিত চিত্র—গেল মার্চ প্রান্তিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে মাত্র এক লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৩.৪৬ শতাংশ কম। বিনিয়োগ কমার পাশাপাশি বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আস্থাহীনতা আর অনিশ্চয়তার এই দীর্ঘ ছায়া দেশের প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের ভবিষ্যেক হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নতুন শর্তে কাবু কমিশন’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে জটিলতা কাটছেই না। সনদ এবং এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে পারছে না জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বরং দলগুলোর একের পর এক শর্তে কাবু হয়ে পড়েছে কমিশন। প্রথম দফা এক মাস মেয়াদ বাড়িয়েও কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি ঐকমত্যের জন্য গঠিত এই কমিশন। দ্বিতীয় দফা মেয়াদের একদিন আগে গতকাল কমিশন সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেও চূড়ান্ত কোনো সুরাহা আসেনি। কয়েকটি দল কমিশনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে এই বৈঠকে। সরকার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে ফের বাড়ানো হচ্ছে কমিশনের মেয়াদ। সর্বশেষ ধাপে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো হবে কমিশনের তরফে। কিন্তু ঐকমত্য কতোটা হবে এটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কমিশনের বৈঠকে অংশ নেয়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দুই ধরনের অবস্থান রয়েছে। বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোট চায় সংবিধান সম্পর্কিত বিষয় ছাড়া অন্য প্রস্তাবগুলো নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা যায়। সংবিধান সম্পর্কিত বিষয় নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা ইসলামী দল, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল চায় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং বাস্তবায়ন করা। এই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবি এসব দলের।

সর্বশেষ গতকালের বৈঠক থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দলগুলোকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা : স্বৈরাচারের পথ বন্ধ করতে হবে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্যে স্বৈরাচার ফিরে আসার সব পথ বন্ধ করতে হবে। আর এই সংস্কার হতে হবে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সমঝোতার মাধ্যমে। ঐকমত্যের ইস্যুগুলোর ফয়সালা করে ফেলতে পারলে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে জাতির নবজন্ম হবে। এ নির্বাচন হবে মহোৎসবের।

রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে শুধু নিরাপত্তা নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তায় সমস্যা হবে। কারণ ভূরাজনৈতিক নানা সমস্যা রয়েছে। ফলে দেশকে আমরা এই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারি না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হলেই তা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াত নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ না মানলে বাংলাদেশকে তো অস্বীকার করা হয়ে যাবে। বাংলাদেশের আইনি প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনেই রাজনীতি করে আসছি।

বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘স্থানীয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশে গড়ে উঠছে হাজার হাজার কোচিং সেন্টার’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে নিবন্ধিত কোচিং সেন্টারের সংখ্যা ৬ হাজার ৫৮৭। এর মধ্যে একাডেমিক ৬ হাজার ৩১২টি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি বা চাকরিসংক্রান্ত কোচিং সেন্টার রয়েছে আরো ২৭৫টি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জরিপ ২০২৪’-এ উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা যদিও বলছেন, নিবন্ধনহীন কোচিং সেন্টারের সংখ্যা আরো কয়েক গুণ। রাজধানীর পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে স্কুল-কলেজের আশপাশে দেখা মিলছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের। এসব কোচিং সেন্টার শিক্ষাসংশ্লিষ্ট হলেও নিবন্ধন বা অনুমোদন দেয়া হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান—সিটি করপোরেশ, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো তদারকি নেই বললেই চলে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ১১১ নং ধারা, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯-এর ৭৯ নং ধারা এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৮২ নং ধারায় এসব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয়ার বিধান রয়েছে। এর সুযোগ নিয়েই কোচিং সেন্টারগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মতো নিবন্ধন নিচ্ছে এবং নিজেদের কার্যক্রমকে বৈধ দাবি করছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে, শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক কত হবে, সে বিষয়ে কোনো নীতিমালা নেই।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর