-68131c51c4638.jpg)
আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর পল্টন ও আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই জমে উঠেছে শ্রমিকদের মিছিল, স্লোগান আর সংগীতানুষ্ঠান। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে হাজারো শ্রমিক অংশ নিচ্ছেন সমাবেশে।
সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে পল্টন এলাকায় আসেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে তারা অধিকার আদায়ের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। উৎসবমুখর পরিবেশে অনেক সংগঠন ব্যান্ড পার্টি ও জাগরণী গান পরিবেশন করে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, পল্টনে মানুষের ভিড় থাকবেই। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি, যাতে কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা না করে।
সরেজিমনে ঘুরে দেখা গেছে, সমাবেশ ও মিছিলের কারণে কাকরাইল মোড়, ফকিরাপুল, প্রেস ক্লাব এলাকা ও আশপাশে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। গুলিস্তান থেকে বিজয়নগর হয়ে গাজীপুরগামী গাড়ি ঘুরে যাচ্ছে মৎস্য ভবন মোড় দিয়ে। মতিঝিল থেকে ফার্মগেট ও শাহবাগমুখী যানও চলছে ধীরগতিতে।
সকাল ৯টা থেকে পুরানা পল্টনে সমাবেশ শুরু করে জামায়াতের শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ (সিপিবি)-এর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় মুক্তি ভবনের সামনে। উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সভাপতি শাহ আলম ও নারী নেত্রী লাকী আক্তার।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা শ্রমিক সমাবেশ করে।
এ ছাড়া তোপখানা রোড এলাকায় গার্মেন্টস ও নৌযান শ্রমিক সংগঠন—বাংলাদেশ গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনসহ অনেক সংগঠনের কর্মীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।
দুপুরের পর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপির শ্রমিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। ইতোমধ্যে সেখানে প্রস্তুতি চলছে।
এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে দিবসটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন হচ্ছে।
- এনএমএম/এটিআর