
ছবি : সংগৃহীত
১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে টানা কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার (০৫ মে) থেকে সারাদেশে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এর আগে রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।
সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন চেয়ে আগে থেকে আন্দোলন করছেন। এখন তাদের বক্তব্য, অন্তত শুরুতে ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। এছাড়া চাকরিতে ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে।
এ তিন দাবিতে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি করবেন শিক্ষকরা। ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি করবেন। ২৬ মে থেকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, আমাদের দাবি চার বছর পর নয়, শুরু থেকে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ ও শতভাগ পদোন্নতি। এছাড়া পদোন্নতিবঞ্চিত শিক্ষকদের সরকারি বিধি অনুযায়ী ১০ বছর পূর্তিতে প্রথম উচ্চতর গ্রেড ও ১৬ বছর পূর্তিতে দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেড শর্তহীনভাবে দিতে হবে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল-আমীন বলেন, এ মুহূর্তে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে (শুরুর পদ) বেতন দিতে হবে। পরে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে হবে।
ডিআর/এমবি