চাকরিচ্যুত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ১৬:১৫

ছবি : বাংলাদেশের খবর
ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিভিন্ন অভিযোগ ও রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে চাকরিচ্যুত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও পেনশন সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (০৭ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
‘সহযোদ্ধা’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে তারা নিজ নিজ বাহিনীপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে তাদের পুনর্বহালের আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বরে তারা প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে নিজ নিজ বাহিনীপ্রধানের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রায় নয় মাস ধরে অপেক্ষা করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তারা বুধবার এ প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করেন।
তারা উল্লেখ করেন, বর্তমান কেয়ারটেকার সরকার ইতিমধ্যে পুলিশ বাহিনীর চাকরিচ্যুত অনেক সদস্যকে পুনর্বহাল ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করেছেন। অথচ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বহু সদস্য আজও বেকার ও ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তারা বলেন, সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাবি না মানা হলে পরিবারসহ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
বক্তারা জানান, অনেকেই মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগের শিকার হয়ে চাকরি হারিয়েছেন এবং এখন পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। ব্রিটিশ আমলের কালো আইন সংস্কারের বিষয়েও তারা জোর দাবি জানান।
ব্রিটিশ আইনে একটি অপরাধের জন্য একাধিক শাস্তির সম্মুখীন হওয়াকে তারা অবিচার হিসেবে উল্লেখ করেন। বিশেষ করে, ‘আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫২’, ‘নেভি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১’ ও ‘এয়ার ফোর্স অ্যাক্ট ১৯৫৩’ এর অধীনে ‘ডিসমিসাল ফ্রম সার্ভিস’-এর মাধ্যমে চাকরিচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি পেনশন থেকেও বঞ্চিত করার নিয়মটিকে তারা ‘অমানবিক ও ঔপনিবেশিক’ আখ্যা দেন। তারা এ আইনের সংশোধন ও ন্যায়সংগত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
সরকার ও বাহিনীপ্রধানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, পুলিশ বাহিনীর মতো সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে পুনর্বহাল বা পেনশন সুবিধা দেওয়া হোক।
তারা জোর দিয়ে বলেন, আমরা দেশের সেবা করতে চাই। আমাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা জাতির কাজে লাগুক।
জেসি/এমবি