Logo

জাতীয়

আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১২:৩৬

আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি

বাংলাদেশের রাজনীতিতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সরকার। এগুলোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টেলিগ্রাম, এক্সের (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিটিআরসিকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেয় জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গত সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

একই দিনে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি ও বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে থাকা অ্যাকাউন্টের লিংক ‘ব্লক’ করার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত ও আইনের বিষয় উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মগুলোকে দ্রুতই চিঠি দেওয়া হবে।

সাইবার পরিসরে আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে গত রোববার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে বলেছিলেন, প্রজ্ঞাপন জারির পর এই রেফারেন্সে বিটিআরসির মাধ্যমে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর অ্যাকাউন্ট ব্লক করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।

তবে সরকারের হাতে সবকিছু বন্ধ করার ক্ষমতা নেই জানিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে বলেছিলেন, সরকার শুধু ওয়েবসাইট ব্লক করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্ট (আধেয়) সরানো, পেজ বা অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ও আরেক টেক জায়ান্ট গুগলের কাছে নিয়মিত অনুরোধ করে থাকে। এসব প্ল্যাটফর্ম বলে থাকে, তারা নিজস্ব নির্দেশিকা ও নীতি লঙ্ঘন করে কি না, তা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

মেটার স্বচ্ছতা প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্মটি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিটিআরসির অনুরোধে বাংলাদেশে ২ হাজার ৯৪০টি আইটেমে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে।

অন্যদিকে গুগলের স্বচ্ছতা প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে কনটেন্ট সরানোর জন্য ৪৯০টি অনুরোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮২৭টি আইটেম ছিল। সবচেয়ে বেশি ৩৩৭টি অনুরোধ ছিল প্রথম ৬ মাসে। প্রথম ৬ মাসে গুগল ৬৮ দশমিক ২ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরের ৬ মাসে ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ডিআর/বিএইচ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আওয়ামী লীগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর