ইসি সানাউল্লাহ
রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য নয়, আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১৫:৫৭

ছবি : বাংলাদেশের খবর
ইসি পুনর্গঠনের দাবির বিষয়টি রাজনৈতিক হওয়ায় তা নিয়ে আমাদের কোনো মতামত নেই । তবে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বুধবার(২১ মে) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা বিষয়ে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি পদত্যাগের দাবিতে নির্বাচন ভবনের বাইরে এনসিপির দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। এরমধ্যে বিএনপি দ্রুত নির্বাচন করার দাবি করে আসছে। আর এনসিপি দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি করছে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ সিকুয়েন্সিং অব ইলেকশন, কোনটা আগে হবে কোনটা পরে হবে এটা ইসির হাতে নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে, পরে হবে। ইসির দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।’
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর গেজেট করে ইসি। এরপর আর আপিল না করায় তা নিয়ে সমালোচনাও চলছে। এ বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোন কোন আইনের বলে কাজ করেছি সেটা আপনারা জানেন। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২ অনুচ্ছেদ ৫০, স্থানীয় সরকার ও সিটি কর্পোরেশন আইন, ২০০৯ ধারা ৫৪, স্থানীয় সরকার ও পৌরসভা বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি, ধারা ৫৪, উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০১৩, ধারা ৫৬, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ দশ এর ধারা ৫৪--এই সবগুলোতে বলা আছে নির্বাচন দরখাস্তে কাকে পক্ষভুক্ত করা যাবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে কোনো পক্ষভুক্ত করার আইন নেই।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের দেশে যেটি হয়ে থাকে, দরখাস্ত করেন, নির্বাচন কমিশন কেউ একটি পক্ষ বানান। আইনের যেহেতু নেই সেহেতু স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি আমরা ফাইল ঘেটে দেখেছি, নির্বাচন কমিশন পক্ষভুক্ত হয়ে আবেদন করেছে কিনা আপিল করেছে কিনা। আমরা এমন কোন নথি পাইনি। সুতরাং পক্ষভুক্ত হওয়ার ব্যাপারটি আমাদের সুযোগ দেয়নি।’
এসআইবি/এমআই