
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ শিগগিরই নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্বাচনের বিষয়ে চিঠি দিতে যাচ্ছে।
সূত্রগুলো জানায়, ডিএসসিসি নিয়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দুই সিটিতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ায় সংকট সমাধানে সরকার এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানো হলে ইসি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘সিটি করপোরেশন সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০২৪ অনুযায়ী, জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবায় বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। সরকার মনে করছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এখন জরুরি। সে লক্ষ্যে ইসিকে চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’
এর আগে, মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন আয়োজনের জন্য সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনকে লিখিতভাবে অনুরোধ করেন এক ব্যক্তি। চিঠিতে ওই ব্যক্তি নিজেকে ‘জুলাই আন্দোলন’-এর সংগঠক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির ঢাকা দক্ষিণের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘ঢাকার দুই সিটিতে প্রায় দুই কোটি মানুষ বসবাস করেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’
এদিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করার সুপারিশ করেছিল। তারা স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে আয়োজনের প্রস্তাবও দেয়।
অন্যদিকে, বিএনপি ও তাদের মিত্ররা জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় নির্বাচন মানতে নারাজ। তারা ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে।
- এসআইবি/এটিআর