-682ed6df9590f.jpg)
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, দমন এবং বিচার প্রক্রিয়া আরও কার্যকর করতে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত গেজেটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে ২০২৩ সালে প্রণীত 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' রহিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে নতুন আইনটিতে সাইবার স্পেসে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন এবং বিচার কার্যক্রম আরও বিস্তৃত ও সমন্বিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর অধ্যাদেশটি রাষ্ট্রপতির সইয়ের মাধ্যমে আইনি রূপ পায়।
নতুন অধ্যাদেশে মোট নয়টি অধ্যায় রয়েছে। এতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি গঠন, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, অপরাধ ও দণ্ড, তদন্ত ও বিচার, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আইনি বিষয় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে, সরকার একটি ‘জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি’ গঠন করবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন একজন মহাপরিচালক। ঢাকায় প্রধান কার্যালয় থাকলেও প্রয়োজনে দেশের অন্যান্য স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। এজেন্সির দায়িত্ব ও ক্ষমতা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।
চতুর্থ অধ্যায়ে গঠিত হচ্ছে 'জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল'। এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হবেন প্রধান উপদেষ্টা বা প্রধানমন্ত্রী। সদস্য হিসেবে থাকবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সচিব, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার প্রধান, প্রযুক্তি ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞসহ মোট ২০-এর অধিক প্রতিনিধি।
ষষ্ঠ অধ্যায়ে সাইবার অপরাধ ও তার জন্য নির্ধারিত দণ্ডের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সপ্তম অধ্যায়ে এসব অপরাধের তদন্ত ও বিচারের কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশি সংস্থার সঙ্গে তথ্য বিনিময় এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়েও রয়েছে বিস্তারিত বিধান।
গেজেটে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধি প্রণয়ন করতে পারবে এবং অধ্যাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করবে। তবে কোনো অনুবাদ ও মূল পাঠের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে মূল বাংলাপাঠই প্রাধান্য পাবে।
আইসিটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অধ্যাদেশ সাইবার সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে যদি এটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয় এবং ব্যক্তি অধিকার ও গোপনীয়তা রক্ষা নিশ্চিত করা যায়।
এমএইচএস