আ.লীগ সরকার পতন পরবর্তী সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের তালিকা প্রকাশ

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৮:২৪

জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে সেনানিবাসে ৬২৬ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার পতনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। কুচক্রী মহলের উসকানিতে সরকারি দপ্তর, থানা, রাজনৈতিক কর্মীদের বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। চুরি, ডাকাতি ও মব জাস্টিসসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক তৎপরতা বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও শিক্ষকদের অনেকে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
আইএসপিআর জানায়, ওই সময় ২৪ জন রাজনৈতিক নেতা, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য, ১২ জন বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ৫১ জন পরিবারের সদস্যসহ মোট ৬২৬ জনকে সেনানিবাসে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই এক বা দুই দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন।
এছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আইএসপিআর একটি প্রাথমিক তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল, যেখানে ১৯৩ জন আশ্রয়প্রার্থীর নাম ছিল। তবে সেই তালিকায় ৪৩২ জন পুলিশ সদস্য ও একজন এনএসআই কর্মকর্তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সাময়িক আশ্রয়দান ছিল একটি মানবিক পদক্ষেপ, যা সে সময়ের জরুরি বাস্তবতায় নেওয়া হয়েছিল। তবে সম্প্রতি কিছু গোষ্ঠী এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
তাদের ভাষায়, ‘সেসব অপপ্রচারের প্রেক্ষিতে এবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হলো, যাতে ৬২৬ জন আশ্রয়গ্রহণকারীর নাম রয়েছে।’
তালিকা দেখতে এখানে লিঙ্কে ক্লিক করুন।
আইএসপিআর দেশবাসীকে গুজব ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানায় এবং পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে দেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
ডিআর/এমএইচএস