পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে দূষণ নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করছে। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২৯ মে পর্যন্ত (৫ মাসে) পরিচালিত হয়েছে ৯৮৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযানে মামলা হয়েছে ২ হাজার ৩৪৮টি মামলা। আদায় করা হয়েছে ২৫ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী স্টিল মিল, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা ও ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে বায়ুদূষণ ঘটানো কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, গেল ৫ মাসে ৪৭৯টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২১৬টি ইটভাটা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট। ১৫টি পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দুইজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ছয়টি কারখানার ব্যাটারি গলানোর আটটি ট্রাকযন্ত্র জব্দ করে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৯ মে পর্যন্ত সারা দেশে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে ৪১৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে ৭৮৬টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬২ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সাভারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তিনটি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং জব্দ করা হয় ৭০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন। অভিযানের সময় বিভিন্ন সুপারশপ ও দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়।

এছাড়া, রাজধানীর শ্যামপুর-কদমতলীতে ছাড়পত্রবিহীন একটি প্রতিষ্ঠানের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একই দিনে ময়মনসিংহে দুটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং চিমনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। বান্দরবানে পাহাড় কাটার দায়ে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ডিআর/এমআই