-683a797481946.jpg)
ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। টোকিওর স্থানীয় সময় শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, আজ রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে দুই নেতা সম্মত হন। এতে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে জাপান সরকার বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা ও রেল খাতে উন্নয়নের জন্য মোট ১০৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করে। এর মধ্যে ৬৪ কোটি ১০ লাখ ডলার ব্যয় হবে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েল-গেজ ডাবল-লেন রেল প্রকল্প বাস্তবায়নে। এছাড়া অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ৪১ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং মানব উন্নয়ন খাতে ৪২ লাখ ডলার অনুদান দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা সফরের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। শুক্রবার ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার’ অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে তিনি বক্তৃতা দেন। এ সময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনীতি ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত ছয়টি সমঝোতা স্মারকে সই হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার টোকিওতে অনুষ্ঠিত মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনারে বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে আরও দুটি সমঝোতা স্মারকে সই হয়। সেমিনারে জানানো হয়, আগামী পাঁচ বছরে জাপানে এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘৩০তম নিক্কেই ফোরাম: ফিউচার অব এশিয়া’য় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ইউনূস। ফোরামের ফাঁকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহামাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশকে আসিয়ান জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে মাহাথিরের সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা।
শুক্রবার সোকা ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক ইউনূসকে সামাজিক উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ‘নিক্কেই এশিয়া অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার পর অধ্যাপক ইউনূস এই ফোরামের নিয়মিত অতিথি। এবারের সফরে তিনি গত বুধবার টোকিও পৌঁছান।
ডিআর/এমএইচএস