পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণের সঙ্গে নিবিড় হতে হবে : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ২২:৩৮
-683b309868fd0.jpg)
পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) জনগণের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ ও আবেদনের জবাব দিতে হবে, তাদের আশ্বস্ত করতে হবে এবং দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর গ্রীন রোডস্থ পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে পাউবো’র ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘পানি খাতে সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্ষা সামনে। পাউবো’র ৯টি জোনের প্রধান প্রকৌশলীদের নিয়মিত মাঠে যেতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং বাড়াতে হবে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পানি সম্পদ সচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে চাই, যাতে পাউবো’র ডিজি, এডিজি এবং ৯টি জোনের ৯ জন প্রধান প্রকৌশলী থাকবেন। এই টাস্কফোর্স বর্ষায় জরুরি পরিস্থিতিতে কোথায় তাৎক্ষণিক কাজ দরকার, তা নির্ধারণ করবে।’
উপদেষ্টা ঘোষণা দেন, বর্ষা শেষে যে প্রধান প্রকৌশলীর কাজ সবচেয়ে ভালো হবে এবং যার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ থাকবে না, তাকে পুরস্কার দেবে মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তরুণ প্রকৌশলীদের মধ্য থেকেও সেরা কর্মীকে সম্মাননা দেওয়া হবে।
নদী রক্ষা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘খুব শিগগিরই তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হচ্ছে। আমরা আশা করছি, সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করতে পারব। এডিবি সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা—এই চারটি নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা আমরা চূড়ান্ত করে দিয়ে যাচ্ছি, যেন ভবিষ্যৎ সরকার কাজটি এগিয়ে নিতে পারে। ৬৪ জেলা থেকে ৬৪টি নদী পরিষ্কারের একটি কর্মপরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাত বিভাগের সাতটি নদী, কক্সবাজারের বাঁকখালী এবং ঢাকার চারপাশের চারটি নদীসহ মোট ১২টি নদী নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি জানান, লবণদহ, হাড়িধোয়া ও সুতাং নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কাজ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে অর্থায়ন করে শুরু হবে।
আলোচনা সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. শ্যামল চন্দ্র দাস দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পাউবো’র মহাপরিচালক মো. তাহমিদুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আ.ন.ম বজলুর রশীদ, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাগুলোর প্রধান, পাউবো’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমআর/এইচকে/এমএইচএস