‘শেখ মুজিব ও জাতীয় ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি’

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৫২
-683fed285ec85.jpg)
ফারুক ই আজম ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয়নি বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। একই দাবি করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণারয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তারা উভয়েই এই বিষয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরকে ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, ‘যারা সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, কিন্তু দেশের ভেতরে ও বাইরে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এই ইতিহাস অস্বীকার করা যায় না।’
তিনি আরও বলেন, মুজিবনগর সরকার পুরো যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। সেই সরকারের কাউকে ‘সহযোগী’ বলা হয়নি। তবে সরকারি কর্মচারীদের ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে একই দিন দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘শেখ মুজিব, তাজউদ্দীনসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে—এ ধরনের সংবাদ সম্পূর্ণ ফেক নিউজ।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সকল সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর স্ক্রিনশটও আমি সংযুক্ত করেছি।’
তবে মঙ্গলবার (৩ জুন) দিবাগত রাতে একটি খসড়া অধ্যাদেশ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি ওঠে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ৪০০-এর বেশি এমএনএ ও এমপিএর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে এবং তাদের ‘সহযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশটি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে জারি হয়। তবে উপদেষ্টারা বলছেন, এই অধ্যাদেশের ভুল ব্যাখ্যা ছড়ানো হচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল নেতৃত্বের প্রতি অসম্মানজনক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে।
ডিআর/এমএইচএস