মহাসড়কে সক্রিয় ১৪০০ ডাকাত, নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১৪:৪৫
-6840079596506.jpg)
ঈদেকেন্দ্রিক যাত্রী পরিবহন ও পশুবাহী ট্রাকে ডাকাতির ঘটনা নতুন নয়। এবারও একই পরিস্থিতি অনুভব করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আর সম্প্রতি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘটে যাওয়া দুটি ডাকাতির ঘটনায় ঈদকেন্দ্রিক ডাকাতির ঘটনা প্রতিরোধে নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা তথ্যে ১৪০০ ডাকাত সক্রিয় থাকার তথ্যও উঠে আসে। যাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানায় হাইওয়ে পুলিশের একটি সূত্র।
হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ১৪০০ ডাকাতের তালিকাও করা হয়েছে। যাদের ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা ও থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়েছে। এ ছাড়াও ডাকাতির ঝুঁকি আছে এমন সড়কগুলোতে মোবাইল টিম, পিকেট ডিউটি বাড়ানো, সাব-কন্ট্রোল রুম স্থাপনসহ নিরাপত্তা বাড়িয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শামসুল আলম (অ্যাডমিন ও মিডিয়া) বলেন, অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। মাঠপর্যায়ের সদস্যদের পাশাপাশি সড়কে নেমে হাইওয়ে পুলিশের প্রায় সব অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। মহাসড়কে ডাকাতি, চাঁদাবাজি প্রতিরোধ তৎপর রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের প্রতিটি সদস্য।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন যাত্রীবাহী গাড়ির যাত্রীদের ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে। মহাসড়কে মোবাইল টিম, পিকেট বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা স্থাপন করা হয়েছে সাব-কন্ট্রোল রুম। গঠন করা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম। যারা জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করবে।
সম্প্রতি ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান এবং অতিরিক্ত আইজি মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেন, দ্রুত ডাকাতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মালপত্রও উদ্ধার হয়েছে। এবারের ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আমরা কার্যক্রম বাড়িয়েছি। সিনিয়র সব অফিসার রাস্তায় থেকে কাজ করেছেন। চালক ও যাত্রীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছি আমরা।
এএমএম/বিএইচ