Logo

জাতীয়

এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে ইসি

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ২১:৪৯

এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে ইসি

২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে আয়োজনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার (৬ জুন) এক জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথম ভাগে অনুষ্ঠিত হবে।’ এই ঘোষণার পরই নির্বাচনী হাওয়া তীব্রতর হয়েছে প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে।

ইসি সূত্র বলছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আসন পুনর্বিন্যাস, নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহ, পর্যবেক্ষক নীতিমালা প্রণয়নসহ একাধিক স্তরে প্রস্তুতির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জুনের মধ্যেই একটি বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রকাশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভোটার হালনাগাদ 
চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতেই ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করে ইসি, যা মার্চের মধ্যেই প্রায় সম্পন্ন হয়। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২৫ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে এবং মৃত ও দ্বৈত নাম বাতিলের মাধ্যমে তালিকা আরো নির্ভুল করার চেষ্টা হয়েছে।

সীমানা নির্ধারণ ও দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া
আসন সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট সেল। আগামী মাসে কমিশনে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে উত্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিবন্ধন পেতে আগ্রহী নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর যাচাই-বাছাই চলছে।

সরঞ্জাম সংগ্রহ ও টেন্ডার কার্যক্রম
নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট বাক্স, কালিসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনার জন্য ইসি ইতিমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করেছে। এছাড়া নির্বাচন অফিসারদের প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা, মডেল ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও পর্যবেক্ষক নিয়োগ নীতিমালার খসড়া তৈরি হচ্ছে।

সংলাপ ও সমন্বয়
আগস্ট-অক্টোবরের মধ্যে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ধারাবাহিক সমন্বয় সভা শুরু হবে জুলাই থেকেই।

রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য সময় এখনো যথেষ্ট থাকলেও তা অত্যন্ত সংকুচিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার রোডম্যাপ প্রকাশ হচ্ছে অন্তত ৬ মাস পরে। বিএনপি ইতিমধ্যে এপ্রিল নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং তাড়াতাড়ি ভোট দাবি করেছে। রাজনৈতিক ঐকমত্যের অভাব ইসির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নির্বাচন কমিশনের আশাবাদ
সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশন নিজস্ব প্রস্তুতিতে আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। কমিশনের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব—যদি সব সংস্থা ও রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করে।’

এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

নির্বাচন কমিশন নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর