এসএমই খাত বিকাশে আন্তরিক বর্তমান সরকার : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ২১:৫৭
-6845b2e7c507e.jpg)
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) বিকাশে খুবই আন্তরিক। এসএমই খাতের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি, টেকসই শিল্পায়ন ও বাণিজ্যিক প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে রোববার (৮ জুন) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও এর সহযোগী অংশীজনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।’
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’ সময়োপযোগী উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এসএমই খাত আমাদের জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। জাতীয় উৎপাদনের বড় অংশ আসে এ খাত থেকে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিক থেকেও এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘এসএমই খাত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ, ক্রেতা-ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় মান-অবকাঠামো উন্নয়ন, গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল তৈরি, বাণিজ্যে কারিগরি প্রতিবন্ধকতা দূর এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখছে।’
প্রফেসর ইউনূস জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সার্টিফিকেশন ও পরিদর্শন সংস্থাসহ ১৫৫টি সরকারি-বেসরকারি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়েছে।
তিনি ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
ডিআর/এমএইচএস