প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, কেউ যদি মনে করে বাক্স লুট করে নিয়ে যাব, কেন্দ্র দখল করে জিতে যাব। অতীতে যা হয়েছে, তারা দিবাস্বপ্নে আছে। এ রকম এবার হতে দেব না। সবাই সুন্দর নির্বাচন চায়।

রোববার (১৫ জুন) নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, জাতীয় নির্বাচন যখনই হউক আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আগে আমাদেরকে বলা হয়েছে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে একটা সময়ে নির্বাচন হতে পারে। সে অনুযায়ী আমরা কাজ এগিয়ে নিয়েছি। এখন আবার নতুন ডাইমেনশনে আসছে। আমাদের সবকিছু এখন নরমালি দেখলে হবে না। এটা একটি বিশেষ পরিস্থিতির ব্যাপার দেশে এখন বিশেষ পরিস্থিতি রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ধরনের সরকার। আমরা দেখছি সরকার বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে আলোচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছিলাম সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের একটি তারিখ ঘোষণা করা হবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরের পর মনে হলো দায়দায়িত্ব কিছুটা আমাদের উপরও এসেছে। আপনারা আবার মনে করবেন না আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষা করছি। আমরা কারও নির্দেশনায় কাজ করব না এটা একদম পরিষ্কার। এটা আপনারা জাতিকে জানিয়ে দিন।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। তিনি বারবার বলছেন একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন দিতে চান।নির্বাচন কমিশনের উপর ওনার আস্থা রয়েছে।

নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে নির্বাচনের প্রস্তুতি ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে চিন্তা করছি না। আমরা ইতোমধ্যে বড় কয়েকটি কাজ করে ফেলেছি। একটি হলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। আমরা এমনভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি যেন যখনই ভোট আয়োজন করতে হবে আমরা যেন ভোট আয়োজন করতে পারি।

তরুণদের ভোটের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তরুণদের ভোটে অংশগ্রহণ বাড়াতে ভোটার তালিকা রেজিস্ট্রেশন আইনে কিছুটা পরিবর্তনের চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কয়েকটি দল নির্বাচনের কমিশনের উপর অনাস্থা প্রকাশ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,কেউ আমাদের বিরুদ্ধে বললে আমি আহত হই না।কেউ সমালোচনা করলে আমি তাদের সব সময় স্বাগত জানাই।

প্রবাসী ভোটারের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী ভোটারদের নিয়ে আমাদের একটি এক্সপার্ট টিম কাজ করছে। প্রতিবেদন ফেলে আমরা প্রবাসী ভোটারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

এসআইবি/এমআই