সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে সমবেত হন তারা। এক পর্যায়ে তারা বসে পড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এসময় তাদের কণ্ঠে উঠে আসে— “আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন”, “জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে” প্রভৃতি প্রতিবাদী স্লোগান।

এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটির কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর, মো. নুরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিত থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

এদিকে কর্মচারীদের দাবি, সংশোধিত অধ্যাদেশটি শুধুমাত্র ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিয়েই চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুতির সুযোগ রাখায় তা স্বেচ্ছাচারী ও দমনমূলক। তারা মনে করছেন, এটি রাষ্ট্রীয় চাকরির নিরাপত্তা খর্ব করে কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে এই সংশোধিত অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এর খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকে এর প্রতিবাদে সচিবালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠন একযোগে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

ঈদের ছুটি শেষে ১৬ জুন থেকে আন্দোলন আবার নতুন করে গতি পায়। টানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকালও সচিবালয়ে বিক্ষোভ-মিছিল এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের হাতে।

এনএমএন/এএ