কর্নেল শফিকুল
সরকারি নির্দেশ পেলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১৭:০৭

কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। ছবি : বাংলাদেশের খবর
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেয়নি সরকার। তবে নির্দেশনা পেলে নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত আছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম একথা জানান।
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে-এমন ইঙ্গিতে মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমরা এখনও কোনো অফিসিয়াল নির্দেশনা পাইনি। তবে নির্দেশনা এলে সেনাবাহিনী সেই অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।’
মব ভায়োলেন্স পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান
সম্প্রতি দেশে মব ভায়োলেন্স বা গণউচ্ছৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে কর্নেল শফিকুল বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী সবসময় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে রংপুরের এক ঘটনায় সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান তিনি।
ঈদযাত্রায় সেনাবাহিনীর সফল উপস্থিতি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম নিয়েও কথা বলেন কর্নেল শফিকুল। তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও ফেরিঘাটে সেনাসদস্যদের নিয়মিত টহলের ফলে যাত্রীরা স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১২৫৫টি যানবাহন থেকে যাত্রীদের ৩৫ লাখ টাকার বেশি অর্থ ফেরত দিতে সক্ষম হয়েছি। এমন কার্যক্রম সেনাবাহিনীর আন্তরিকতা, সততা ও পরিশ্রমের ফসল।’
এছাড়া ঈদযাত্রায় হতাহতের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পতাকা বিক্রেতার ঘটনায় ব্যাখ্যা
এক ফুটবল ম্যাচে জাতীয় পতাকা বিক্রেতাকে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ঘটনার পর সেনাবাহিনী ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে দুঃখ প্রকাশ করে এবং আর্থিক সহায়তা হিসেবে তাকে এক লাখ টাকা প্রদান করে।
সীমান্ত পরিস্থিতি ও সন্ত্রাস দমন
ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে ‘পুশ ইন’ পরিস্থিতি সম্পর্কে কর্নেল শফিকুল জানান, সেখানে বর্তমানে বিজিবি ও কোস্টগার্ড নজরদারি চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী সরাসরি যুক্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। গোপনীয়তা বজায় রেখেই এসব অভিযান পরিচালিত হয় এবং ভবিষ্যতেও চলবে।’
এনএমএম/এমআই