রামচন্দ্রপুর খাল পরিচ্ছন্নকরণে টেকসই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ২১:২৭
-6856cf660c766.jpg)
পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজধানীর আদাবর এলাকায় অবস্থিত রামচন্দ্রপুর খালকে টেকসইভাবে পরিচ্ছন্ন এবং দূষণমুক্ত করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই খালটিকে বাঁচাতে হবে। এটি এ এলাকার প্রাণ। কিন্তু এটি মানুষের বর্জ্যে ভয়াবহভাবে দূষিত হয়ে পড়েছিল।’
শনিবার (২১ জুন) রামচন্দ্রপুর খাল পরিচ্ছন্নকরণের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ শুধু পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সীমাবদ্ধ নয়। অন্তত এক বছর স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করে একটি কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে, যাতে করে খাল পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্য রক্ষার একটি স্থায়ী চিত্র মানুষের সামনে উপস্থাপন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, খালের পাড়ে যেন কেউ বাসাবাড়ির ময়লা না ফেলতে পারে সেজন্য স্থানীয়দের জন্য ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের সচেতন না করলে খাল রক্ষা করা সম্ভব নয়।
রিজওয়ানা হাসান জানান, রামচন্দ্রপুর খালসহ সুভাঢ্যা খালেও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তার ভাষায়, ‘কেউ এসে আপনার ময়লা নেবে না, তাই বলে আপনি খালে ফেলবেন—এটা হতে দেওয়া যাবে না। সচেতনতা ছাড়া কোনো উদ্যোগ টিকবে না।’
তিনি বলেন, রামচন্দ্রপুর খালকে যদি টিকিয়ে রাখতে হয়, তাহলে পাড় বাঁধাই, খনন, বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সৌন্দর্য্যবর্ধনসহ একটি সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
পরিদর্শনকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ উপস্থিত ছিলেন। এই কার্যক্রমে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে আইডিএলসি এবং বাস্তবায়নে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফুটস্টেপ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এক্সকাভেটরসহ অন্যান্য লজিস্টিকস সহায়তা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, একসময় রামচন্দ্রপুর খাল ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও অপরিকল্পিত বর্জ্য ফেলা, দখল এবং নজরদারির অভাবে এটি নালা হিসেবে পরিণত হয়েছিল। নতুন এই উদ্যোগে নাগরিক ও প্রশাসনের যৌথ অংশগ্রহণের মাধ্যমে খালটির হারানো পরিবেশ ও কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এইচকে/এমএইচএস