সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। 

রোববার (২২ জুন) চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২ ‘বি’ ব্যাচ ও ডাইরেক্ট অ্যান্ট্রি অফিসার ২০২৫ ‘এ’ ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজে অংশ নেন নবীন কর্মকর্তারা। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান নিজে।

সেনাপ্রধান বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর প্রগতিশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে। তারা সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, অপরাধ দমন ও দুর্যোগকালীন মানবিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”

ভাষণের শুরুতে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডারদের আত্মত্যাগের কথা গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন।

নবীন কর্মকর্তাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকার পাশাপাশি, সেনাপ্রধান দেশপ্রেম, কর্তব্যনিষ্ঠা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘দেশসেবার মহান ব্রত নিয়ে তোমরা যাত্রা শুরু করলে। এই পথচলায় নেতৃত্বের গুণাবলি, আত্মত্যাগের মানসিকতা এবং শৃঙ্খলার সঙ্গে অটল থেকে এগিয়ে যেতে হবে।’

অনুষ্ঠানে ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন, যাদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৪ জন বিদেশি। ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন মিডশিপম্যান মেহেদী হাসান মৃধা। ‘নৌ প্রধান স্বর্ণপদক’ পান মো. মেহেরাব হক তনি। ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ লাভ করেন সাব-লেফটেন্যান্ট রাজীব দত্ত। বিদেশি ক্যাডারদের মধ্যে সেরা হিসেবে ‘বিএনএ আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন সুদানের মিডশিপম্যান আবোহরিরা এলবাদাওয়ি আহমেদ আবদেলনাইম। অনুষ্ঠান শেষে নবীন কর্মকর্তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ নেন।

অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এনএমএম/এমআই