Logo

জাতীয়

‘শতভাগ ভোট’ বিতর্কিত নির্বাচনের সিইসি নুরুল হুদা

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৯:২৬

‘শতভাগ ভোট’ বিতর্কিত নির্বাচনের সিইসি নুরুল হুদা

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ছিলেন কে এম নূরুল হুদা

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে অন্যতম একটি বিতর্কিত নির্বাচন। সে নির্বাচনে দেশের প্রায় ২০০টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার নজির সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে প্রায় দুই হাজার কেন্দ্রে ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ ভোট পড়ে।

ওই নির্বাচনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ছিলেন কে এম নূরুল হুদা। রোববার (২২ জুন) রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে বিএনপির একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়ে যায়। ভোটের আগের রাতেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলে। ফলাফলে দেখা যায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জোটসঙ্গীরা ২৮৮টি আসন পায়।

আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র সাতটি। বাকি তিনটি আসন পায় অন্যান্যরা। অনেক ভোটকেন্দ্রে একশো ভাগ ভোট পড়ে বলে ফলাফলে দেখা যায়। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বাইরে অন্য কেউ ভোট পাননি অনেক কেন্দ্রে। বিরোধী দলগুলো ফলাফল মানতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নির্বাচন কমিশনের নির্লজ্জ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

ওই নির্বাচনের সময় নূরুল হুদা ভোট গণনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দেন। তিনি বলেছিলেন, শতভাগ ভোট পড়া নিয়ে আমি বিব্রত নই। আমরা পাঁচ মিনিটে ভোট গুনে ফেলি, যা যুক্তরাষ্ট্র পারে না। দিনের ভোট রাতে হওয়া নিয়েও তিনি বিব্রত নন বলে জানান।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করে সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন সাবেক সিইসি নূরুল হুদা। সেই নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নূরুল হুদা। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, এ নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে মত দেন। কিন্তু ভিন্ন মত পোষণ করেন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাও এ তিন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

ফলে নির্বাচন কমিশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ হয়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিট সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরেন কে এম নূরুল হুদা। পরে বগুড়া-৬, ৭ ও ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

উল্লেখ্য, কে এম নূরুল হুদা রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটির মাধ্যমে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিইসি পদে নিয়োগ পান। তিনি ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব শেষ করেন।

এসআইবি/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

নির্বাচন কমিশন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর