আসন্ন রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রস্তুতি। ধর্মীয় এই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার মোতায়েন করা হচ্ছে সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, রুফটপ পেট্রোল, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা বাহিনী এবং অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা।

সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘ঢাকার রথযাত্রা একটি বিশাল ধর্মীয় শোভাযাত্রা। শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। আমাদের লক্ষ্য—এ উৎসব যেন একটি ফুলও না ছিঁড়ে নিরাপদে সম্পন্ন হয়।’

কমিশনার আরও জানান, জনসমাগমে বিন্দুমাত্র বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেই। প্রয়োজনে রথযাত্রার রুট আগে থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তবেই শোভাযাত্রা চলবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন থাকবে রাইফেলধারী সোয়াট সদস্য, স্নাইপার পর্যায়ের নজরদারি ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড, ফুট পেট্রোল ও রুফটপ টিম। পাশাপাশি থাকবে হোন্ডা মোবাইল স্কোয়াড ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরা। পুরো রুটজুড়ে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা, যার মাধ্যমে রিয়েলটাইম পর্যবেক্ষণ চালাবে পুলিশ সদর দপ্তর।

সভায় জানানো হয়, ২৭ জুনের রথযাত্রা এবং ৫ জুলাইয়ের উল্টো রথযাত্রায় নির্ধারিত রুট ও সময়সীমা মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উদযাপন কমিটিকে। নামাজ ও আজানের সময় মাইক বন্ধ রাখতে হবে। যেকোনো ব্যাগ, পোটলা নিষিদ্ধ থাকবে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে আয়োজকদের।

রথযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ঘিরে আয়োজিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, এনএসআই, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ, অপরাধ দমন শাখা, সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সভায় সবাই মিলে রথযাত্রা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করতে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

এনএমএম/এমএইচএস