যুদ্ধবিরতির পর সিদ্ধান্ত বদল
ইরান থেকে ফিরতে আগ্রহ হারাচ্ছেন বাংলাদেশিরা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ১৫:১৯
-685d10a167b47.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় টানা ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষে অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছেছে ইরান ও ইসরায়েল। এই যুদ্ধাবস্থার মধ্যে যেসব বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন, পরিস্থিতির উন্নয়নে অনেকেই এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনায় পরিবর্তনের আভাস মিলেছে।
সূত্র জানায়, ইরানে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। এর মধ্যে তেহরানেই আছেন প্রায় ৪০০ জন। যুদ্ধের শুরুর দিকে তেহরান ও আশপাশের এলাকায় পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা শুরু হলে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন প্রবাসীরা। অনেকেই বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য নিবন্ধন করেন। এখন পর্যন্ত মোট ২৫০ জন দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তবে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় সেই সংখ্যায় বড় ধরনের ভাটা পড়েছে।
পাকিস্তান সীমান্ত ব্যবহার করে এদের মধ্যে প্রথম দফায় ৯০ জনকে বাংলাদেশ সরকার দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়। তাদের তথ্য ইসলামাবাদ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ জনের একটি দল তেহরান থেকে ইরান-পাকিস্তান সীমান্তের তাফতান পয়েন্টের দিকে রওনা হয়েছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সড়কপথে পাকিস্তানে পৌঁছে তাদের করাচি থেকে ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরানো হবে।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধনকারী ২৫০ জনের মধ্যে এখন মাত্র ৬০-৭০ জন সত্যিকারের প্রত্যাবর্তনে আগ্রহী। বাকিরা যুদ্ধবিরতির পর ইরানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানে বসবাসরত সকল বাংলাদেশির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূতাবাস সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিজ অবস্থানেই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের নাম-ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
দূতাবাস এবং মন্ত্রণালয় থেকে হটলাইন নম্বর চালু রাখা হয়েছে—
বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরান : 📞 +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮, +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫/ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা : 📞 +৮৮০১৭১২০১২৮৪৭
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান বাংলাদেশের খবরকে জানান, “তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা ফিরতে আগ্রহী, তাদের একটি দলকে আগামী সপ্তাহে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সহযোগিতায় এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
এনএমএম/এএ