ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে আমলারা বাদ, একক কর্তৃত্বে নির্বাচন কমিশন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন নীতিমালা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ২১:১৯
-6862ab0b52ec2.jpg)
গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দায়িত্বে থাকছে না জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা থানার ওসি। পুরো প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে একক কর্তৃত্ব।
সোমবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ করেছে ইসি। গেজেটে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি অনুসারে ভোটকেন্দ্রের স্থান নির্ধারণ ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দায়িত্ব এককভাবে নির্বাচন কমিশনের। সে অনুযায়ী এবার মাঠ প্রশাসনের কোনো কমিটি ছাড়াই কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তারাই এই দায়িত্ব পালন করবেন।
নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, গড়ে তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র এবং পাঁচশত পুরুষ ও চারশত মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে কক্ষ নির্ধারিত থাকবে। এছাড়া ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে এলাকার ভূগোল, নিরাপত্তা, যাতায়াত ব্যবস্থা ও ভোটারদের সুবিধাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বলছে, ‘ভোটকেন্দ্র এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যাতে ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত থাকে এবং ভোটারদের জন্য সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’
নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নীতিমালা কমিশনের ক্ষমতা ও স্বতন্ত্রতা জোরদারের বার্তা দিলেও প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে সরে আসার ফলে মাঠ পর্যায়ে সমন্বয়ের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। অতীতে ডিসি-এসপি-ইউএনওরা ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এবার সেই দায়িত্ব পুরোপুরি সরে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আওতায়।
এদিকে, নতুন নীতিমালায় স্পষ্ট করা হয়েছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না। অর্থাৎ পুরো নির্বাচনই ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত হবে।
এসআইবি/এমএইচএস