ব্যালট প্রকল্পে ইসিকে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার দেবে জাপান

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১৩:৪৭

ব্যালট প্রকল্পে ইসিকে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার দেবে জাপান। ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক, কারিগরি ও কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যালট প্রকল্পে জাপান ৬৯৫ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৪.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) অনুদান দিয়ে সহায়তা করবে।
বুধবার (২ জুলাই) নির্বাচন কমিশন ভবনে জাপান সরকার ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য ভোটার ও নাগরিক শিক্ষা জোরদার করা, নারী, যুবসমাজ ও সমাজে প্রতিনিধিত্ব কম এমন গোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা, সেই সঙ্গে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া জুড়ে স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ও জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যুরোর মহাপরিচালক ইশিজুকি হিদেও।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জাপানের এ সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এ চুক্তি আমাদের কার্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং জনসাধারণের আস্থা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন গণতান্ত্রিক পথে যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। জাপান বাংলাদেশের নিজস্ব অধিকারকে সম্মান জানায়। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন করে জাপান। আমরা আশা করি ইউএনডিপির মাধ্যমে জাপানের এ সহায়তা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।’
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার জাপানের উদারতা ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার হিসেবে সহযোগিতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘জাপানের সহায়তা বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন—যা জনগণের সত্যিকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়—এমন নির্বাচন আয়োজনে সাহায্য করার আমাদের যৌথ লক্ষ্যে নতুন শক্তি যোগ করেছে।’
এ নির্বাচনী সহায়তা বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্ব ও ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, মানবিক নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ।
এসআইবি/এমবি