Logo

জাতীয়

সাবেক ১২ সচিব ও বিচারকের ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ২০:৩৩

সাবেক ১২ সচিব ও বিচারকের ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল

ছবি : সংগৃহীত

প্রভাব খাটিয়ে সাবেক ১২ জন সচিব ও বিচারক সরকারি ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে । এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সচিব ও বিচারকদের বরাদ্দ বাতিল করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ধানমন্ডির সড়ক ১৩ (নতুন ৬/এ), বাড়ি নম্বর ৭১১ (নতুন ৬৩) নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন ভবনের ফ্ল্যাটগুলো ‘ধানমন্ডি গৃহায়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ এর আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। পরে ফ্ল্যাটগুলো নীতিমালা লঙ্ঘন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি সাবেক সচিব ও বিচারদের দেয়া ফ্ল্যাট বরাদ্দে নীতিমালা ভঙ্গ ও প্রভাব খাটানোর সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে। পরে বিষয়টি ২৭৪তম বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ জন সাবেক সরকারি কর্মকর্তার ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল করা হয়।

বাতিল হওয়া বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন র সাবেক কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. জহুরুল হক (৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), দুদকের সাবেক কমিশনার ও সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান (৪৩০৮.৬৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (২০৪৯.১৩ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব ড. এম আসলাম আলম (২০৪৯.১৩ বর্গফুট)ন।

তাদের মধ্যে আরও রয়েছেন সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (২৩১৫.৮৩ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক (২০৪৯.১৩ বর্গফুট)। 

এদিকে সরকারি আবাসন বরাদ্দের নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী, অবসরের পর কোনো কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে সরকারি ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারেন না। বিশেষ করে ‘প্রকল্প চলমান অবস্থায়’ প্রভাব খাটিয়ে বরাদ্দ নেওয়া আইনি ও নীতিগতভাবে নিষিদ্ধ। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে আবেদনপত্র গ্রহণ ও অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, যা ‘জনস্বার্থবিরোধী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। 

বিষয়টি নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বলছে, এ ধরনের বরাদ্দ বাতিল শুধু নীতির পক্ষে একটি পদক্ষেপ নয়, এটি প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে আরও কঠোর নজরদারি চালানো হবে।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

দুর্নীতি দমন কমিশন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর