নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সহযোগিতার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১৯:১০

ছবি : প্রতিবেদক
বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আরও জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবাদ দমন, মামলার প্রসিকিউশন, অনলাইনে তরুণীদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “সন্ত্রাসবাদ দমন ও নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সহায়তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট আজ একটি আধুনিক ও দক্ষ বাহিনী হয়ে উঠেছে।” তিনি ভবিষ্যতেও নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশে ‘বর্তমানে কোনো জঙ্গিবাদ নেই’ : বৈঠকে উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো সক্রিয় জঙ্গিবাদ নেই। তবে নিষিদ্ধ ঘোষিত কিছু রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নজরে রেখেছে। তাদের যেকোনো তৎপরতা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে।” তিনি জানান, ঢাকার বারিধারা কূটনৈতিক এলাকাকে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে আনা হয়েছে। সেখানে নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ডও মোতায়েন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ: সংস্থাগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান বাড়াতে হবে : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলেন, “প্রতিটি দেশেই কমবেশি সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও তথ্য শেয়ারিং বাড়ানো জরুরি।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পুলিশ, এনএসআই, এসবি, সিটিটিসি, এটিইউ— এজেন্সিগুলোর মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সংযুক্তি থাকলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।” বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তাবিষয়ক পদক্ষেপ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও বারিধারার সুরক্ষায় নেওয়া ব্যবস্থার জন্য তিনি উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
সৌজন্য এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পলিটিক্যাল ও ইকোনমিক কাউন্সিলর এরিক গিলান, পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স অফিসার জোশ পোপসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এনএমএম/এএ