শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু বিষয়ে একমত

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১৮:০০

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য ইস্যুতে তিন দিনব্যাপী আলোচনার দ্বিতীয় দিনে বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য এবং অগ্রগতি হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা পুনর্বহালের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক শুল্ক হ্রাস, কাস্টমস আধুনিকায়ন ও বাণিজ্য ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পক্ষ থেকে কিছু কাঠামোগত সংস্কারের প্রস্তাব থাকলেও বাংলাদেশ বেশ কিছু প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
এছাড়া দ্বিতীয় দিনের আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন একান্তে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাম্বাসেডর জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গ্রিয়ার ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী পদমর্যাদার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার সঙ্গে শুল্কবিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয় (USTR) থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও নীতিগত পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের আলোচনায় শ্রম অধিকার, কাস্টমস স্বচ্ছতা ও শুল্ক সুবিধা পুনর্বহাল নিয়ে ‘গঠনমূলক অগ্রগতি’ হয়েছে।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ও বাণিজ্য সুবিধা পুনর্বহাল হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি আরও বাড়বে। এতে কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিক থেকে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সরাসরি আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরী। ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত রেখেছে। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে সুবিধাটি আবার পুনর্বহালের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিষয়টি ঘিরে সরকারের উচ্চপর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চলছে।
ডিআর/এএ