-6874fc82420fb.jpg)
আসছে ৫ আগস্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’। প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এর নির্মাণকাজ। তবে দর্শনার্থীদের জন্য জাদুঘরটি খুলে দেওয়া হবে কিছুটা সময় পর।
সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকায় গণভবনে আয়োজিত ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন দর্শনার্থী যখন এই জাদুঘরে প্রবেশ করবেন, তিনি যেন অনুভব করতে পারেন—কেন জন্ম নিয়েছিল জুলাই বিপ্লব, কীভাবে গড়ে উঠেছিল প্রতিরোধের চেতনা, আর কী ভয়াবহ ছিল সেই সময়কার দুঃশাসন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত বিচারের রায় দেবে, কিন্তু এ জাদুঘর হবে বিবেকের আদালত—যেখানে জনগণ নিজেরাই ইতিহাসের বিচার করবেন।’
তিনি জানান, জাদুঘরটি পরিচালনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আইনি কাঠামো প্রণয়নের কাজ চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’টি মূলত বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের একটি অংশ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে থাকবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নানা স্মারক—শহীদদের ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্র, চিঠিপত্র, নথিপত্র, আন্দোলনের সময়কার স্থিরচিত্র, পত্রিকার কাটিং, পোস্টার, অডিও ও ভিডিও উপকরণ। বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে সেসময়ের গণবিক্ষোভ, প্রতিরোধ, এবং সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসা জনগণের দুর্লভ মুহূর্তগুলো।
জাদুঘরে থাকবে একাধিক ইন্টার্যাকটিভ গ্যালারি ও মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনী, যেখানে দেখা যাবে আন্দোলনের সময়কার বিভিন্ন নাটকীয় ঘটনা—তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ঐতিহাসিক মুহূর্তের অনুকরণে নির্মিত একটি থ্রিডি ইনস্টলেশন।
উপদেষ্টারা জানান, এ জাদুঘর কেবল একটি প্রদর্শনশালা নয়, এটি হবে শিক্ষা, অনুপ্রেরণা ও গণতন্ত্রচর্চার প্রতীক। এখানে নিয়মিত গবেষণা, মুক্ত আলোচনা এবং প্রজন্মসংলাপের ব্যবস্থা থাকবে।
ডিআর/এমএইচএস