
ছবি : সংগৃহীত
চাকরি, ব্যবসা বা অন্যান্য কারণে অনেক নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ঠিকানা থেকে দূরে অবস্থান করায় ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে নিরসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই ভোটার এলাকা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বর্তমানে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের জন্য বাড়ির মালিকের দেওয়া বিদ্যুৎ বিল বা বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্রের অনুলিপি জমা দিতে হয়। কিন্তু ভাড়াটিয়াদের কাছে এসব কাগজপত্র পাওয়া কঠিন হওয়ায় ভোটারদের এলাকা পরিবর্তনে সমস্যা হয়। এই জটিলতা দূর করতে ইসি একটি নতুন প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ভোটার যদি অন্য এলাকায় ভোটার হতে চান, তবে ওই এলাকার দুইজন ভোটার তাকে শনাক্ত করে স্বাক্ষর দেবেন। পরে সংশ্লিষ্ট ইসি কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্যের সত্যতা যাচাই করবেন। যাচাই সঠিক হলে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করা হবে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, “গত নির্বাচনে অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেননি। এবার সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে এমন ব্যবস্থা করতে আমরা কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “ভাড়াটিয়াদের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয় কারণ ভাড়ার চুক্তিপত্র বা বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পাওয়া যায় না। তাই নতুন পদ্ধতিতে এলাকার দুজন ভোটারের শনাক্তকরণ ও পরে যাচাইয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সহজ করা হবে।”
এছাড়া আইনি পরিবর্তনের প্রয়োজন না থাকায় শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সংশোধনের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। নির্বাচন
এদিকে ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এ উদ্যোগকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে বর্তমানে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের জন্য থানা বা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হয় এবং বাড়ির দলিল, বিদ্যুৎ বিল বা ভাড়ার চুক্তিপত্র জমা দিতে হয়। নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।
দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ। চলতি সপ্তাহে ৪৪ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত করে ইসি একটি সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।
ভাসমান ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ইসির এই নতুন উদ্যোগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
এসআইবি/এএ