আন্দোলনের জেরে এনবিআরের আরও ৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৪:৫১
-6876167f2fafc.jpg)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলমান অস্থিরতার মধ্যে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ব্যাচ ধরে ক্ষমা চাইলেও শেষ রক্ষা হলো না। প্রকাশ্যে বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে আয়কর ক্যাডারের আরও ৮ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন— কর অঞ্চল-২ এর যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫ এর কর কর্মকর্তা মুরাদ আহমদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন, নোয়াখালী কর অঞ্চলের মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, কক্সবাজার কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার আশরাফুল আলম প্রধান এবং উপ-কর কমিশনার শিহাবুল ইসলাম, রংপুর কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার নুসরাত জাহান শমী ও কুমিল্লার উপ-কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২২ জুন জারি করা বদলির আদেশ অমান্য করে জনসমক্ষে তা ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে কর্মকর্তারা অসদাচরণ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৩৯(১) ধারা অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে ‘বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ (ওএসডি) হিসেবে রাখা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তারা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
এর আগে এনবিআর সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চলতি মাসের শুরুতে কর বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ তিন সদস্য—মো. আলমগীর হোসেন, ড. আবদুর রউফ ও হোসেন আহমদ এবং বরিশালের কর কমিশনার মো. শব্বির আহমদকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ১ জুলাই চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে বরখাস্ত করে ওএসডি করা হয়।
প্রসঙ্গত, এনবিআরের অভ্যন্তরে চলমান পরিবর্তন ও শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সম্প্রতি একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। কর্মকর্তাদের একাংশের দাবি, এসব সিদ্ধান্তে প্রশাসনিক গোঁজামিল ও প্রতিশোধমূলক মনোভাব কাজ করছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এটিআর/এএ/এমএইচএস