সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর (নামে ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা) প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বাজার মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের দায়ের করা অনুসন্ধান আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ জুলাই ২০২৫ ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ সংক্রান্ত ক্রোকাদেশ প্রদান করেন।

সিআইডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে জমি দখল, কমিশন গ্রহণ, জালিয়াতি, প্রতারণা, হুন্ডি, আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংসহ নানা অপরাধের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে রূপগঞ্জ উপজেলার খাদুন এলাকার ৬৯টি দলিলভুক্ত সম্পত্তি তা ক্রোক করা হয়েছে। সম্পত্তিগুলোর মোট পরিমাণ ৪৮৭৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।

এই জমিগুলোর ওপর গড়ে উঠেছে গাজী টায়ারসহ বিভিন্ন শিল্প ও স্থাপনা। সিআইডির অনুসন্ধান অনুযায়ী, এই বিপুল সম্পত্তি গাজী ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অর্জন করেন।

সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা জানান, গাজী ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী তদন্ত চলছে এবং তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগেও আলাদা অনুসন্ধান চলছে। এ ছাড়া এই সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গোলাম দস্তগীর গাজী দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়।

সিআইডি জানিয়েছে, চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।