-(40)-68779858c781a.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা নিরাপদে জেলা ছেড়েছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় বের হয় তাদের গাড়িবহর। সেখান থেকে বাগেরহাটের মোল্লাহাট হয়ে খুলনা দিয়ে জুলাই পদযাত্রার পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করে তাদের গাড়িবহর।
এর আগে, বিকেল পৌনে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে ফেরার সময় হামলার মুখে পড়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর।
সমাবেশস্থল থেকে বের হওয়ার পর জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরের ওপর ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
পুলিশ ও র্যাবের পাহারায় এনসিপির নেতাদের শহর থেকে বাইরে বের করার চেষ্টা করা হলেও ব্যাপক হামলার মুখে তাদের আবার শহরে ফিরিয়ে আনা হয়। কিছুক্ষণ পরে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম সেখানে এলে তারাও হামলার মুখে পড়ে।
প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা” কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই কর্মসূচিকে “১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ” কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই কর্মসূচি ঘিরে সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া হামলা হয়েছে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) গাড়িতে।
এরপর দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালানো হয়।
এ সময় সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়।
তবে হামলার ঘটনার পর দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। এরপর সেখানে পৌঁছান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলাম, ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
- এমআই