সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণে ইসির বিশেষায়িত কমিটি গঠন

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৩
-687859f96175d.jpg)
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশেষায়িত কারিগরি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৬ জুলাই) ইসির উপ-সচিব মো. শাহ আলমের জারি করা এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আদেশটিতে বলা হয়েছে, গঠিত কমিটি আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
বিশেষ এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ইসির সিস্টেমস ম্যানেজার মো. রফিকুল হককে। এ ছাড়া অন্য সদস্যরা হলেন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান (ভূগোলবিদ), কে এইচ রাজিমুল করিম (মানচিত্রকর), মোশিউর রহমান রিমু (তথ্য-প্রযুক্তিবিদ), ড. ফারহানা আহমেদ (নগর পরিকল্পনাবিদ), হিফজুর রহমান (পরিসংখ্যানবিদ) ও মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন (সিনিয়র সহকারী সচিব,নির্বাচন সহায়তা-১)। কমিটিটি প্রয়োজনে যেকোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
কমিটির কার্যপরিধি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাব/প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনার (সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির নিকট দাখিল।
এ পর্যন্ত ৭৯টি আসনের সীমানা নির্ধারণে ছয় শতাধিক আবেদন ইসিতে জমা পড়েছে। শিগগিরই এগুলো যাচাই বাছাই করে খসড়া প্রকাশ করবে ইসি।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং অপরাপর সুপারিশের আলোকে আমরা দেখেছি যে, আরেকটু বোধহয় টেকনিক্যাল কমিটি দ্বারা এটাকে বাছাই করার সুযোগ আছে। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের মধ্যে বলা হয়েছিল, বড় জেলাগুলোতে ১০ পারসেন্ট ভোটারের ভেরিয়েশন রাখা, প্লাস-মাইনাস ১০ শতাংশ ভোটার। কিন্তু বাস্তবতাতে দেখা যাচ্ছে, যেটা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে এডজাস্ট করতে হলে সবগুলো আসনকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে সাজাতে হবে। এটার আরেকটা দিক আছে। ২২১ টি আসনের সীমানা পরিবর্তনে কোনো ধরনের আবেদন হয়নি। তদুপরি যেখানে যেখানে অনেক বেশি ভেরিয়েশন আছে এটাতে আরেকটু কিছু করা যায় কিনা— সেটার জন্য আমরা দেখতে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থা এবং অবস্থান, প্রশাসনিক সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা, পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার আছে সেটাকে এড করে তারপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
- এসআইবি/এটিআর