ওএইচসিএইচআর মিশন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে জোর দেবে

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৫:৫৩
-687b6b0129f39.jpg)
গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত তিন বছরের সমঝোতা স্মারকের আওতায় গঠিত মিশন শুধুমাত্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিরোধ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করায় মনোযোগ দেবে। বিশেষ করে, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সংঘটিত মানবাধিকার অপরাধগুলোর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করাই এ মিশনের প্রধান দায়িত্ব হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে শনিবার (১৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, এই মিশন প্রতিষ্ঠিত আইনি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক বা আদর্শগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় স্বার্থ ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রক্ষায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বকে সর্বদা সম্মান জানাতে হবে।’ নাগরিকদের কাছ থেকে পাওয়া মতামতও এই বিষয়ের গুরুত্ব বহন করে, যেখানে বিদেশি উদ্যোগগুলোর প্রতি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংবেদনশীলতা বজায় রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, মিশন সবসময় স্বচ্ছতা বজায় রেখে স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ে কাজ করবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বাস্তবতার পূর্ণ সম্মান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সরকার স্পষ্ট করেছে, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে মিল না থাকলে যেকোনো সময় এই সমঝোতা স্মারক থেকে সরে আসার অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এছাড়া, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে যদি এই ধরনের একটি অফিস থাকতো, তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং গণহত্যাসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধ যথাযথ তদন্ত ও বিচারাধীন হতো বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এই অংশীদারিত্বকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে, যা দেশের প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
ডিআর/এমএইচএস