
উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোগী, আত্মীয় এবং স্টাফ ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সেনাবাহিনীর অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারছেন না সাংবাদিকরাও।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে সরেজমিনে ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় দেখা যায়, ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে আনসার সদস্য ও প্রবেশমুখে সেনা সদস্যরা কড়া অবস্থানে রয়েছেন।
ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করতে হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে। রোগীর স্বজনদেরও জানাতে হচ্ছে, কার আত্মীয়, রোগীর নাম এবং কোন ওয়ার্ডে আছেন। পরিচয় নিশ্চিত হলেই মিলছে প্রবেশাধিকার।
কর্তব্যরত এক আনসার সদস্য জানান, বাড়তি ভিড় ঠেকাতেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সকাল ৮টায় বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু
এ সময় হাসপাতালে অযথা ভিড় না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সায়েদুর আরও বলেন, রক্তের জন্য পর্যাপ্ত ডোনার আছে। অযথা কেউ ভিড় করবেন না। তবে, নেগেটিভ গ্রুপের আরও কিছু রক্ত লাগবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে মুহূর্তেই বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আজ (মঙ্গলবার, ২২ জুলাই) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।
- এসআইবি/এটিআর