অবরুদ্ধের ৬ ঘণ্টা অতিবাহিত
এখনও দুই উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ভেতরে

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১৭:০৯

ছবি : প্রতিবেদক
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বের হতে পারেননি।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মাইলস্টোন কলেজের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান করছেন তারা।
দুর্ঘটনার পর কলেজ প্রাঙ্গণে জরুরি উদ্ধার ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চলায় পুরো ক্যাম্পাস ঘিরে রাখা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায়। ফলে কেউ ভেতরে প্রবেশ বা বাইরে যেতে পারছেন না।
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই কলেজ চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং উপদেষ্টা পর্যায়ের ব্যক্তিরা ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। সময় গড়ালেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি।
প্রশাসনিক ভবনের এক কর্মচারী জানিয়েছেন, “স্যাররা (আসিফ নজরুল, ড. সি আর আবরার এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ) নিরাপদেই আছেন। তবে বাইরে যাওয়ার সুযোগ এখনো হয়নি।”
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে বিকাল পৌনে ৫ টা পর্যন্ত মাইলস্টোন কলেজে প্রধান গেইট বন্ধ রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজের দুর্ঘটনাকবলিত হায়দার আলী ভবন পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় ড. আসিফ নজরুল ও শফিকুল আলমের পথরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন শিক্ষার্থীরা তাদের ৫ নম্বর ভবনে ঢুকিয়ে অবরুদ্ধ করেন।
তারও আগে, সকাল ১০টা থেকে কলেজের গোল চত্বরে ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা ঘোষণা দেন, দুপুর সাড়ে বারোটার মধ্যে তাদের সঙ্গে যদি সরকারের প্রতিনিধি দল তাদের দাবি দাওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলতে না আসে, তাহলে তারা উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজজিআই (৭০১) মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২৫ জন শিশুই। এ ছাড়া আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন ১৬৫ জন।
এএইচএস/এএ