সচিবালয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আহত ৮৫ শিক্ষার্থী ঢামেকে ভর্তি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩৬

সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। ছবি : বাংলাদেশের খবর
বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৮৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ের ১ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা ভেতরে ঢুকে একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় উত্তেজনা, যা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নেয়। চোখে-মুখে পানি ছিটানো ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ব্যবহার করা হয় সাউন্ড গ্রেনেডও।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে অবস্থান নেন। তবে সেখানে গিয়েও কয়েক দফায় সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্যও শিক্ষার্থীদের নিক্ষিপ্ত ঢিলে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা এর আগে শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে প্রত্যাহারসহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও এখনও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি রয়েছে।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের অনেকেই মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আহতরা হলেন- অজানা (২০), হাসান (১৮), সেরাতুল (২২), সাকিব (১৯), তানভীর (১৯), রিফাত (১৯), রিজন (২০), সামিয়া (১৮), সামির (১৯), তামিম (১৯), অজানা (১৮), ইমন (২০), সিয়াম (১৮), সাকিল (২০), মেহেদী (২০), সাদমান (১৮), মারুফ (২২), সাকিব (১৮), মাহিন (১৯) রোহান (২০), হাসিব (২০), মুগ্ধ (১৯), মাহিম (২০), হাসিব (১৯), সায়েম (১৮), অজানা (২০), জিদান (২০), নিহার (২০), রায়হান (২০), রোমান (১৮), প্রান্ত (১৯), নাহিদ (২০), অন্তু (২০), বিশাল (২০), ইমরান (২০), আহনাদ (১৮), মাহি (২০), নাঈম (১৮), সামি (১৮), স্বাধীন (২০), তাসিন (১৮), ইমরান (১৯), ধ্রুব (১৯), শান্ত (২০), তানিম(২০), আজহারুল (২০), তন্ময় (১৯), জিসান (১৯), রাসেকুন (২০), পারভেজ (২০), নাঈম (১৯), বিজয় (১৭), আসাদ (২০), নিহার (২০), নাফিজ (১৮), সাহিন (২০), কিশোর (১৮) ও তানভীর (১৮)।
এ ছাড়াও রয়েছেন ফারদিন (১৯), শাহরিয়ার (২০), অজানা (১৯), সাঞ্জু (১৯), রাইয়ান (১৯), কলি (১৯), আব্দুল খালেক (৬৫), হাসিব (১৮), সিনান (১৮), তাসফি (২২), মামুন (২০), রিফাত (১৮), আসাদ (২১), মাহিন (২০), আতিক (১৮), তানভীর (১৮), হাবিব হাসান (সাংবাদিক মানবজমিন) (২৪), কনা(২১), ইমন (১৯), ফাহাদ (১৮), ইয়াসিন আরাফাত শান্ত (২০), অজানা (১৯) ও শাকিল (২০)।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বাংলাদেশের খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিকেলের দিকে আহত অবস্থায় আনুমানিক ৭৫ জন শিক্ষার্থী ও একজন সাংবাদিককে জরুরি বিভাগে আনা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে জানিয়েছি।
তবে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি সূত্র অন্তত ৮৫ জন ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এনএমএম/এমবি