ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবস্থা চেয়ে ইসিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৩
-(39)-6880aeab88bee.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত ঝুঁকিপূর্ণ সকল ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
বুধবার(২৩ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটার ব্যবস্থা করবেন কিনা- জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘সবকিছু সম্ভব কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি এটার জন্য মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমার জায়গাটা বাস্তবায়নের। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন। এছাড়া কমিশন যদি মনে করে সচিবালয়ের মতামত প্রয়োজন তাহলে সচিবালয়ের মুখপাত্র হিসেবে কমিশনে আমার মতামতটা দিতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতো তাড়াতাড়ি বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। একটু সময় লাগবে। কমিশন যদি এ বিষয়ে জানতে চায় তাহলে আমি এটা প্রস্তুতি নিয়ে কমিশনকে বলতে পারি। আর কমিশন যদি মনে করে এটা করতে হবে তাহলে করবে। তখন এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমার।’
গত ২১ জুলাই ইসিতে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১১তম সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কার্যবিবরণীতে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক গৃহীত কার্যক্রম আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে সফটকপি এবং হার্ডকপি সরাসরি জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখায় প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।
ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ সকল ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করবে যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। (ইসি)। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন; মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে; ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। একইসঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে সদস্য নিয়োগ ও পাসিং আউট কার্যক্রমও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।
- এসআইবি/এমআই