Logo

জাতীয়

ইসি

নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক নীতিমালা জারি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৬:২৪

নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক নীতিমালা জারি

গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর

নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২৩ জুলাই) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি প্রকাশ করা হয়।

নীতিমালা বলা হয়, রাজধানীকেন্দ্রিক গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব সাংবাদিকদের পাশ, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের স্টিকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ অধিশাখা হতে প্রদান করা হবে।

স্থানীয় সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে এলাকা/জেলা/উপজেলা হতে প্রকাশিত পত্রিকা এবং জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন, অনলাইন, আইপিটিভি এর স্থানীয় প্রতিনিধি স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। স্থানীয় পর্যায়ের এসব সাংবাদিকদের কার্ড, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের স্টিকার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা তার কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদান করবেন।

ভোটগ্রহণ দিনের অন্তত সাতদিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের অফিসিয়াল প্যাডে নিউজ এডিটর/চিফ রিপোর্টার/বার্তা প্রধান/ব্যুরো প্রধান/জেলা প্রতিনিধি স্বাক্ষরিত আবেদন সচিব নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বা রিটার্নিং অফিসার বরাবর দাখিল করিতে হইবে। 

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হতে কতজন সাংবাদিককে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হলো- তাদের নাম, প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক পরিচয়পত্র/পিআইডি কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

প্রাপ্ত আবেদনসমূহ ও দলিলাদি যথাযথভাবে যাচাই বাছাই করে নির্বাচনের কলেবর ও গুরুত্ব অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার স্বীয় বিবেচনায় যৌক্তিক সংখ্যক সাংবাদিককে অনুমোদন ও কার্ড ইস্যু করবেন। জটিলতা এড়াতে কতসংখ্যক স্থানীয় সাংবাদিককে পরিচয়পত্র দেয়া যায় তা স্থানীয় প্রেসক্লাব বা প্রেসক্লাবসমূহ বা সাংবাদিক সংগঠন বা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে নির্ধারণ করবেন। এছাড়া সাংবাদিকদের আবেদন যাচাই বাছাই করে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার প্রদানের জন্য রিটার্নিং অফিসার একটি কমিটি গঠন করে দিতে পারবেন।

আবেদন যাচাই বাছাইয়ের সময়, পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে সন্দেহ হলে, পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয় কিনা তা দেখার জন্য গত এক সপ্তাহের পত্রিকা। সাপ্তাহিকের ক্ষেত্রে তিনটি সংখ্যা জমা দেয়ার জন্য বলা যেতে পারে। সাংবাদিক পরিচয়পত্র বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পত্রিকার এডিটর/ প্রেস ক্লাবের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করা যাবে। যেসব সাংবাদিককে অনুমোদন দেয়া হবে তাদের বিস্তারিত তথ্য ইস্যু নম্বরসহ রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে এবং ইস্যুকৃত কার্ডে রিটার্নিং অফিসার/ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর, সিল ও তারিখ থাকতে হবে।

নীতিমালায় নির্বাচনি এলাকা ও ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের পালনীয় নির্দেশাবলীতে বলা হয় :

  • নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন, তবে কোনোক্রমেই গোপন কক্ষের ভিতরের ছবি ধারণ করতে পারবেন না।

  • একইসাথে দুইয়ের অধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান করতে পারবেন না।

  • ভোটকক্ষে নির্বাচনি কর্মকর্তা, নির্বাচনি এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারবেন না।

  • ভোটকক্ষের ভিতর হতে কোনোভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।

  • ভোটকেন্দ্রের ভিতর হতে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ হতে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে তা করতে হবে, কোনোক্রমেই ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে বাঁধার সৃষ্টি করা যাবে না।

  • সাংবাদিকগণ ভোটগণনা কক্ষে ভোট গণনা দেখতে পারবেন, ছবি নিতে পারবেন তবে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না।

  • ভোটকক্ষ হতে ফেসবুকসহ কোন সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা যাবে না।

  • কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন সকল কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

  • ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকগণ প্রিজাইডিং অফিসারের আইনানুগ নির্দেশনা মেনে চলবেন।

  • নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।

  • কোনো প্রকার নির্বাচনি উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না।

  • নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী বা কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যেকোনো ধরনের প্রচারণা বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা হতে বিরত থাকবেন।

  • নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্য নির্বাচনি আইন ও বিধিবিধান মেনে চলবেন।

  • উপরোল্লিখিত নির্দেশনা কোনো সাংবাদিক পালন না করলে কার্ড ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ তার সাংবাদিক পাশ বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • এ নীতিমালা নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধ। নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হবে।

    এসআইবি/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর