তামাক কোম্পানির সাথে বৈঠক বাতিলের দাবি প্রজ্ঞার

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৭

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণের উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে বৈঠক বাতিলের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞা জানিয়েছে, তামাক কোম্পানির মতামত নেওয়ার জন্য অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা কমিটির উদ্যোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর আর্টিকেল ৫ দশমিক ৩ ও তার গাইডলাইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এর আগে, গত ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা কমিটির এক বৈঠকে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রজ্ঞার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ফসিটিসি-এর আর্টিকেল ৫ দশমিক ৩ অনুযায়ী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, বিধিমালা বা নীতিমালার প্রণয়নে তামাক কোম্পানি বা তাদের সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষের প্রস্তাব, মতামত বা অংশগ্রহণ গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ ২০০৩ সালে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং ২০০৮ সালে গাইডলাইন অনুস্বাক্ষর করে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এই গাইডলাইন অনুসরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে তা শুধু দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির ক্ষতি করবে না, বরং তামাক নিয়ন্ত্রণের অগ্রগতিও বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, এফসিটিসি’র স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির সাথে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ সম্পূর্ণরূপে আর্টিকেল ৫.৩ এর পরিপন্থী। তাই উপদেষ্টা কমিটির এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করা হোক।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। তামাকজনিত রোগে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন, পঙ্গুত্ববরণ করেন আরও কয়েক লক্ষ মানুষ।
- এসআইবি/এটিআর