এনসিপির সমাবেশ
গোপালগঞ্জে সহিংসতা তদন্তে ৬ সদস্যের কমিশন গঠন

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ২১:৪৭

ছবি : সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সাবেক বিচারপতি ড. মো. আবু তারিককে প্রধান করে এই তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। খবর বাসসের।
সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, গঠিত তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে—সহিংসতার অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধান, আক্রমণের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা সংগঠন চিহ্নিত করা, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ প্রদান, জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলার পেছনের কারণ বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে করণীয় নির্ধারণ।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন—জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলাম, ২১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহীদুর রহমান ওসমানী, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি সরদার নূরুল আমিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী।
কমিশন প্রয়োজনে আরও সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। তদন্ত কমিশনের ব্যয়ভারও সরকার বহন করবে।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ জেলা সদরে একটি রাজনৈতিক দলের জনসভাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং নাগরিক নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার বিষয়সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য সরকার গত ১৬ জুলাই ‘দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬’ এর সেকশন ৩-এর ক্ষমতাবলে একটি ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ডিআর/এএ